বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পরাজিত মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সঙ্গে তার চরমোনাই দরবার শরিফে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাই দরবার শরিফে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই নেতা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিরফোর ডটকম।
জানা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীর বরিশালের ভোটে হামলার শিকার ফয়জুল করীমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ও সমবেদনা জানান । পাশাপাশি গভীর রাতে দুই নেতা একান্তে কিছু সময় বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে চরমোনাই মিডিয়া গ্রুপের সদস্য ও ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি এস এম সানাউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ১১টায় গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম চরমোনাই দরবার শরিফে এসে পৌঁছান। এক ঘণ্টার মতো তিনি এখানে অবস্থান করেছিলেন। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম ও মুফতী ফয়জুল করীম একান্তে কথা বলেছেন।”
মুফতী ফয়জুলের কক্ষ থেকে বেরিয়ে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরে ফিরে যান বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দলের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ও তার মা জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের জামিনদার হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিলের পর জাহাঙ্গীর তার মায়ের টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনে প্রচারণায় নামেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে জায়েদা খাতুন গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে গত সোমবার বরিশালে ভোট চলাকালে একটি কেন্দ্রের বাইরে হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার পর ইসলামী আন্দোলন বরিশাল ও খুলনা সিটির ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দেয়। তবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, বরিশাল সিটির সর্বমোট ১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।