রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামকে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২১ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ এ অভিযোগ করেন। দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফ মাহমুদ বলেন, “শুক্রবার রাতে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে কাজী রওনকুল ইসলাম নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত-আটজন সদস্য তাকে প্যান্টের বেল্ট ধরে টেনেহিঁচড়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালান। তখন পাশেই পুলিশের দুটি গাড়ি ছিল। প্রায় ৪৫-৫০ নেতাকর্মীর মধ্য থেকে ছাত্রদল সভাপতিকে তুলে নিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ সবার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং কয়েকজনকে মারধর করে।”

তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সভাপতিকে তুলে নিতে ব্যর্থ হলে সেখানে থাকা ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আবদুর রহমানকে বেধড়ক মারধর করে নিয়ে যায় পুলিশ। শনিবার তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।”
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, “নাশকতার পরিকল্পনা, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ছাত্রদলের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি কার্যালয় থেকে ফেরার পথে গুলশান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলামকে কাকরাইল মোড় থেকে পুলিশ উঠিয়ে নেয়। পরদিন শুক্রবার ভোররাতে তাকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ বলেন, “ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকে সরকারি মহল শঙ্কিত। আমার মনে হয়, নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই আচরণ করেছে।”