রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের জেরে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে প্রায় ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে। পরে পুলিশ পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ্য নেতা দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন। অফিসের নিচে অবস্থান করছিলেন নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয় কার্যালয়ের সামনে। এরপর ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে ঠিক কী নিয়ে সংঘর্ষের শুরু তা জানা যায়নি।
বাংলা ট্রিবিউন জানায়, ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত এলাকায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। আর বিএনপির কর্মীরা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়েছেন। রাজপথে বের হয়ে এসে ইটপাটকেল ছুঁড়ছেন তারা। টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে। পুলিশ দফায় দফায় টিয়ার শেল ছুঁড়ছে।
এ সময় ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় একাধিক সাঁজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান এবং অতিরিক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ। ফকিরাপুল, কাকরাইল এলাকায়ও তারা টহল দেয়। বিকেল ৪টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কতজন আহত হয়েছেন।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।