দেশবাসীর সামনে রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করবে বিএনপি।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) হোটেল দ্য ওয়েস্টিনে এ আয়োজনে রাজনীতিক, বিশিষ্টজন, সিনিয়র সাংবাদিক, সম্পাদকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সই করা এক আমন্ত্রণ পত্রে এই তথ্য জানানো হয়।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র নেতা, দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে আভাস পাওয়া গেছে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি মনে করে, একা দলটির পক্ষে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করা সম্ভব নয়। সে জন্য সরকারবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ‘‘জাতীয় সরকার'' গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারে বেশ কিছু বিষয় ইতোমধ্যে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের আলোচনায় উঠেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার করতে কমিশন গঠন করার উদ্যোগ রয়েছে।
এগুলো হচ্ছে— ‘বিতর্কিত' সংশোধনী বাতিলে সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন, সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচারে মিডিয়া কমিশন গঠন, সংবিধান মোতাবেক ন্যায়পাল নিয়োগ, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন উল্লেখযোগ্য।
পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত বিএনপির দায়িত্বশীলরা জানাচ্ছেন, প্রস্তাবিত রূপরেখায় ২০১৭ সালের ১০ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘‘ভিশন ২০৩০''-কে কেন্দ্রে রেখেই পরিকল্পনা করছে বিএনপি। গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই পরিকল্পনার একটি বড় অংশজুড়ে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবিত পরিবর্তনের প্রসঙ্গগুলো উল্লেখ থাকবে।
এর মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ‘‘রেইনবো নেশন'' প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় সমঝোতা কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি সংবিধান সংশোধন করে গণভোটের ব্যবস্থা পুনপ্রবর্তন করা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বন্ধ করা, বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসবাদের চর্চা বন্ধ করা, বিদ্যুতে আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে আনার বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।