বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলন দৈর্ঘ্যে কমে প্রস্থে বেড়ে যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে গঠন করা বিএনপি ভুয়া। তাদের জনগণ বিশ্বাস করে না।”
বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৬টি আসনের উপনির্বাচনে আজকের ভোট অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপির রাজনীতি ঘোমটা পরা রাজনীতি। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভয় পায়নি, উল্টো বিএনপি নিজেরাই ভয় পেয়েছে। বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলক সমাবেশ প্রতিরোধ নয়, সর্তক থাকবে আওয়ামী লীগ। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে যাবে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। মাত্র সূচনা করেছি, খেলা এখনো শুরু করিনি আমরা। বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সবই ভুয়া। মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরলো। সরকার পতন, ৫৪ দল, ২৭ ও ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, সাতদিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জনগণকে বারবার ধোকা দিয়েছে। তাদের আর জনগণ বিশ্বাস করে না। নির্বাচনকে বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না, আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে জয় যুক্ত করে একাত্তরের ঘাতকদের বিতাড়িত করবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য—সরকার ও বিরোধী দল দুটি থাকবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “বিএনপির লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতা দখল করা। তারা কখনোই জনগণের ভোটের সমর্থন আর পাবে না। তাই আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের খেলা ১০ ডিসেম্বরের পরই শেষ হয়ে গেছে।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, মিজবাউর রহমান ভূইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি প্রমুখ।