‘বিএনপির মতো নির্বাচনে না যাওয়ার কথা ভাবছে জাতীয় পার্টি’
জাপা মহাসচিবের অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জোর করে প্রত্যাহারের চাপ দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চান
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকা ট্রিবিউন
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১০:৫২ পিএমআপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১১:৫৬ এএম
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যা শুরু করেছে, তা বন্ধ না হলে বিএনপি যেমন নির্বাচন বর্জন করেছে, জাতীয় পার্টিও সেভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে কি-না সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “আমি সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি আপনার দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করেন, তাদের থামান। এভাবে যদি নির্বাচনের অবস্থা চলতে থাকলে তাহলে বিএনপির মতো আমাদেরকেও আগামীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা নতুন করে ভাবতে হবে।”
জাপা মহাসচিবের অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জোর করে প্রত্যাহারের চাপ দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চান।
খালেদা জিয়াকে সরকার মেরে ফেলার চক্রান্ত নিয়ে বিএনপির অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানবিক কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করতে পারেন, এটা তার এখতিয়ার। আর এটা বিএনপি আর বর্তমান সরকারের বিষয়। এখানে আমাদের বলার বা করার কিছু নেই।”
জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করার অভিযোগে তিনি বলেন, “এটা দলের নেতা কর্মীদের যথার্থ দাবি। মানুষের ধারণা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ভালো সম্পর্কের আসল কারণ হলো জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন ভারত, পাকিস্তান, এমনকি ইংল্যান্ডেও হচ্ছে। এতে দোষের কিছু নয়। সংসদে বিরোধী দলের মুল কাজ হলা জনগণের মনের কথা, সমস্যার কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। আমরা তা করছি। আমরা সংসদ বর্জন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে কারণ আওয়ামী লীগ আর বিএনপি দুই দলের কেউই দেশে সুশাসন দিতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো।”
মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করার উদ্দেশে রংপুর যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। দলের নেতা কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি নগরীর দর্শনা এলাকায় এরশাদের বাসভবন পল্লী নিবাসে এসে পৌঁছালে জাপার সাবেক মহাসচিব বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জেলা জাপা সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
পরে তিনি এরশাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দোয়া মাহফিলে শরীক হন। পরে তিনি রংপুর সার্কিট হাউজে যান এবং সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রংপুর ত্যাগ করেন।
‘বিএনপির মতো নির্বাচনে না যাওয়ার কথা ভাবছে জাতীয় পার্টি’
জাপা মহাসচিবের অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জোর করে প্রত্যাহারের চাপ দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চান
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যা শুরু করেছে, তা বন্ধ না হলে বিএনপি যেমন নির্বাচন বর্জন করেছে, জাতীয় পার্টিও সেভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে কি-না সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “আমি সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি আপনার দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করেন, তাদের থামান। এভাবে যদি নির্বাচনের অবস্থা চলতে থাকলে তাহলে বিএনপির মতো আমাদেরকেও আগামীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা নতুন করে ভাবতে হবে।”
জাপা মহাসচিবের অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জোর করে প্রত্যাহারের চাপ দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চান।
খালেদা জিয়াকে সরকার মেরে ফেলার চক্রান্ত নিয়ে বিএনপির অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানবিক কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করতে পারেন, এটা তার এখতিয়ার। আর এটা বিএনপি আর বর্তমান সরকারের বিষয়। এখানে আমাদের বলার বা করার কিছু নেই।”
জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করার অভিযোগে তিনি বলেন, “এটা দলের নেতা কর্মীদের যথার্থ দাবি। মানুষের ধারণা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ভালো সম্পর্কের আসল কারণ হলো জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন ভারত, পাকিস্তান, এমনকি ইংল্যান্ডেও হচ্ছে। এতে দোষের কিছু নয়। সংসদে বিরোধী দলের মুল কাজ হলা জনগণের মনের কথা, সমস্যার কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। আমরা তা করছি। আমরা সংসদ বর্জন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে কারণ আওয়ামী লীগ আর বিএনপি দুই দলের কেউই দেশে সুশাসন দিতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো।”
মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করার উদ্দেশে রংপুর যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। দলের নেতা কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি নগরীর দর্শনা এলাকায় এরশাদের বাসভবন পল্লী নিবাসে এসে পৌঁছালে জাপার সাবেক মহাসচিব বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জেলা জাপা সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
পরে তিনি এরশাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দোয়া মাহফিলে শরীক হন। পরে তিনি রংপুর সার্কিট হাউজে যান এবং সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রংপুর ত্যাগ করেন।
বিষয়: