বর্তমান সরকারের আমলে অনেকগুলো টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো পত্রিকার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, “এই সরকারের আমলে গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমে স্বাধীনতা আছে বলেই এ সমস্ত মিডিয়াগুলো নতুন করে এসেছে। স্বাধীনতা আছে বলেই প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়া।”
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হানিফ ।
তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের জন্য বিএনপি মায়া কান্না করছে।তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখনকার কথা কি ভুলে গেছেন? তাদের আমলে ১৩ জন সাংবাদিক বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে।”
বিএনপির এক দফা কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বলেন, “বিএনপির এক দফা আজকের নতুন না। বেগম খালেদা জিয়া ২০১৩ সাল থেকে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই এক দফা দেশের মানুষ দেখেছে। এটি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই এক দফা অতীতের মতো ব্যর্থ হবে।”
সরকারি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই। বিএনপির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সরকার সজাগ আছে। সরকার দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সবসময় সচেতন। এই পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত করতে না পারে, সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার সচেতন আছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যাচার করছে। এতে মাঝেমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়। তবে তা বিএনপির জন্য উদ্বিগ্নতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আন্দোলনের নামে তারা অতীতে সন্ত্রাস সহিংসতা করেছে, পেট্রোল ঢেলে গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, সরকারের বিভিন্ন সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, প্রায় সাড়ে ৩শ মানুষকে হত্যা করেছে। এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করলে বিএনপি ভিসা নীতির আওতায় পড়ে যাবে।”
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন সম্পর্কে হানিফ বলেন, “যতটুকু শুনেছি ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ভোটের হার খুবই কম ছিল। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর দুই মাস বাকি আছে। এজন্য ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার মানুষ ভোটদানে খুব বেশি আগ্রহী থাকে না। তাছাড়া দুই মাসের জন্য ভোটদানে আগ্রহী থাকার কথাও না।”
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।