ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নুরসহ আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাশে এ এ হামলার ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সমকাল।
আহতরা হলেন- গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের, সদস্য সাদ শিকদার, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্র অধিকারের সহ-সভাপতি মেহেদি, কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ, ঢাকা কলেজের সহ-সভাপতি রাকিব, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সভাপতি কাউসার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল ও মোহাম্মদপুর থানা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রাজিব প্রমুখ।
মঙ্গলবার রাতে বিরোধী দলের ওপর হামলা, মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল হত্যা ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের আটকের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্র অধিকার পরিষদ।
তবে বিকেল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেয় বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে নুরের নেতৃত্বে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসি আসে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করে মিছিল নিয়ে টিএসসির জনতা ব্যাংক সংলগ্ন গেটের কাছাকাছি আসলেই “ভুয়া” স্লোগান নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর মারতে মারতে তাকে ডাচ বাংলা বুথের গেটের সামনে নিয়ে যায় তারা। এরপর তাকে রিকশায় করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
তবে হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নয় বলে দাবি করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের সন্ত্রাসের শঙ্কায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ মানববন্ধন করছিল। সেখানে নুররা মিছিল নিয়ে এসে কথা কাটাকাটি শুরু করে বলে জেনেছি। এর বাইরে কিছু জানি না। হামলাকারীরা কেউ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নয়।”