Friday, March 28, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ফখরুল: বিএনপি লড়াই করবে, অন্যরা বসে থাকবে তা হবে না

তিনি বলেন, যেকোনো জাতি যখন তার অধিকারের জন্য লড়াই করে, সংগ্রাম করে তখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়

আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৯:১৬ পিএম

আজকে শুধু বিএনপি লড়াই করবে বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই করবে, অন্যান্যরা বসে থাকবে সেটা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “যেকোনো জাতি যখন তার অধিকারের জন্য লড়াই করে, সংগ্রাম করে তখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়। সেখানে সকলে কনট্রিবিউট করতে হয়। আজকে সবাইকে নেমে আসতে হবে, সবাইকে রাজপথে নামতে হবে এবং তাদের ভয়েস যেটা.. সোচ্চার কণ্ঠে উচ্চারণ করতে হবে।”

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বিএনপি আয়োজিত এক সেমিনারে দলটির মহাসচিব এই আহ্বান জানান। গুলশানে হোটেল লেকশোরে বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম: দুঃশাসনের দেড় দশক’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ডেনমার্কসহ সাতটি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে এখানে যারা এসেছেন সকলে সচেতন মানুষ। আপনারা জনমত তৈরি করুন। আজকে শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্ব আজ আপনাদের সঙ্গে এক হয়েছে। তারা পরিষ্কার করে বলছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, তারা পরিষ্কার করে উচ্চারণ করছে এখানে নির্বাচন হয় না, এখানে মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে আমাদেরকে নতুন পার্লামেন্ট ও নতুন সরকার দিয়ে জনগণের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে… এটাই হচ্ছে আমাদের কথা। আসুন এখন আর কালক্ষেপণ না করে অন্ধকারকে সরিয়ে সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যাই- এই হোক আমাদের আজকের আলোচনার কথা।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে সর্বগ্রাসী ফ্যাসিবাদ গোটা দেশকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে। এই গ্রাস করার অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা। তারা যেভাবে অপকর্ম করে, যেভাবে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নেয়, যেভাবে মানুষের ন্যূনতম সাংবিধানিক অধিকারগুলো কেড়ে নেয়- সেটাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার জন্য গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন হয়। সেটাই তারা ধীরে ধীরে সুকৌশলে করে আসছে।”

তিনি বলেন, “আজকে ৫২ বছর পরে এসে আমাদের বলতে হচ্ছে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই, আমাদেরকে বলতে হচ্ছে এখানে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই। এখানে এসে বলতে হচ্ছে যে, এতগুলো যে মিডিয়া, এই মিডিয়াগুলো আসলে কোনো কাজ করতে পারে না, চাইলেও।”

“এখানে সুকৌশলভাবে করপোরেট মিডিয়া তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো একেকটি পত্রিকার মালিক, একেকটি টিভি চ্যানেলের মালিক।”

“এজন্য তারা তাদের যে ব্যবসা এবং একই সঙ্গে সরকারের যে সুবিধাগুলো ভোগ করে, ব্যাংকের সুবিধা ভোগ করে। যারা টাকা পাচার করে দিচ্ছে তাদেরকে রক্ষা করে। তাদেরকে রক্ষা করার জন্য আজকে গণমাধ্যমে কর্পোরেট কালচার তৈরি করেছে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন… খুব ইন্টারেস্টিংলি একটি গণমাধ্যম আরেকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যখন খবর প্রচার করে তখন দেখবেন একজন ব্যবসায়ী আরেক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রচার করছে। সবই কিন্তু এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।”

সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

সাংবাদিকদের সংগঠন বিএফইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ ও যুগান্তরের সহকারী সম্পাদক মাহবুব কামালও সেমিনারে বক্তব্য দেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান,  ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, জয়নাল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, তাহসিনা রুশদীর লুনা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেনও সেমিনারে বক্তব্য দেন।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণফোরাম, কল্যাণ পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, পিপলস পার্টি, জাতীয় পার্টি (জাফর), গণঅধিকার পরিষদের দুই পক্ষ, নাগরিক ঐক্য, বিএলডিপি, ন্যাপ (ভাসানী), জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কয়েকজন নেতা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান, এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক এটিএম নুরুল আমিন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বক্তব্য দেন সেমিনারে।

   

About

Popular Links

x