বগুড়া ৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বলেছেন, “নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যারা দুর্বল প্রার্থী তারাই নির্বাচনে টাকা খরচ করে। আমার নির্বাচনের খরচ যারা আমাকে ভালোবাসে তারাই দিবে। আর জনগণ আমাকে ভালবেসে ভোট দিতে আসবে।”
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভোট করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ ভোটাররা বলছে তোমাকে ভোট দেব কয়বার? তুমি পাশ করলে কিন্তু এমপি হতে পারলে না। তবে ভোটারদের অনুরোধে নির্বাচনে আছি। আবার অনেকে মনে করেছে হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। এসব কারণে ভোটের মাঠে রয়েছি।”
এ সময় হিরো আলম বলেন, “এবার কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবো না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এজন্য নির্বাচনের মাঠে রয়েছি।”
হিরো আলম আরও বলেন, “বগুড়াসহ সারাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা ইসি বারবার বলেছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।”
তিনি বলেন, “আমি বৃহস্পতিবার বগুড়ায় এসেছি, শুক্রবার থেকে প্রচারণা শুরু করব। প্রচারণার আগে এসপি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। স্যারকে জানিয়েছি কাহালু ও নন্দীগ্রামে প্রচারণাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই।”
হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৫ জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা দেখার সুযোগ নেই। হিরো আলমের কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনী বিধি মেনে সহযোগিতা করবে।”
এর আগে তিনি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ডাব প্রতীক বরাদ্দ নেন।