দিরাই ও শাল্লা উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-২ আসনে পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহোদর চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন) চৌধুরীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা।
প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী জয়া সেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জয়া সেন গুপ্ত ৮০ হাজার ভোট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী আল আমিন চৌধুরী পেয়েছেন ৫৪ হাজার ভোট।
ড. জয়া সেন এই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি প্রয়াত জাতীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি।
বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ জয়া সেনের বদলে এ আসনে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ওরফে আল আমিন চৌধুরী। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন জয়া।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জয়ার স্বামী সুরঞ্জিত। ফলে এ ভোটের মাঠে আসনটি সুরঞ্জিতের আসন হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের দলীয় ভোটের বাইরেও এখানে রয়েছে সুরঞ্জিতের বিশাল পরিচিতি। সুরঞ্জিতের মৃত্যুর পর জয়া সেনও এখান থেকে টানা দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অপরদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী আল আমিন চৌধুরী শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হন তিনি। এছাড়া আল আমিনের বাবা শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তার পরিবারেরও ভালো গ্রহণযোগ্যতা
রয়েছে এলাকায়। ফলে শুরু থেকেই এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করা হচ্ছিল ।
জয়া সেনগুপ্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই এলাকার ভোটাররা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ভালোবাসেন। তার অনুসারী হিসেবে আমাকেও পছন্দ করেন। ভোটে তারা আবারও তার প্রমাণ দিয়েছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।”