বলেছেন, জনমত যেদিকে থাকে, নির্বাচনের ফল সেদিকেই টার্ন করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের করা এক মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, "ধ্বংসের পথে তাদের বিধ্বংসী রাজনীতি। ছদ্মবেশী, বিধ্বংসী যে রাজনীতি তারা করেন, সেই বিধ্বংসী রাজনীতি ধ্বংসের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে। নির্বাচনের ইতিহাস বলে যারা বয়কট করবে, তাদের কিন্তু জনবিচ্ছিন্নতা— এই রাজনৈতিক ভাগ্য অনিবার্য হয়ে গেলো। বিএনপিকেও এ কথা বলি, গত সাধারণ নির্বাচনে জনমতের হাওয়াটা যদি তাদের অনুকূলে থাকতো, তাহলে এর প্রভাবটা তাদের ফলাফলে পড়তো। জনমত যেদিকে থাকে, নির্বাচনের ফল সেদিকেই টার্ন করবে, এটা নির্বাচনের ইতিহাস।"
দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের উদ্দেশে কাদের বলেন, "এখন উপজেলা নির্বাচন চলছে। আমাদের যারা দলীয় মন্ত্রী ও এমপি রয়েছেন, তারা নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন যেন না করেন। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়, এমন কোনও কর্মকাণ্ডেও যেন তারা জড়িত না হন। এটা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পরিষ্কার নির্দেশনা।"
সিটি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, "উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। যারা এসব অপবাদ দেন, তাদের সরেজমিনে উপজেলা নির্বাচন দেখতে বলুন। তারপর তাদের ধারণা কত অমূলক, অলীক; এর প্রমাণ পাবেন। সিটি উপনির্বাচনের দিন সারাদিন মেঘলা আকাশ থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে বিকেলে মেঘলা আকাশ না থাকায় ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। আকাশ মেঘলা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যারা আসতে পারেননি, দুপুরের পর থেকে তারা আসতে শুরু করেন।"
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে কাদের বলেন, "পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির বাইরে অন্য কোনও ফোরামে এই সিদ্ধান্ত হতে পারে না। সেখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে, এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।"
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন ও আনোয়ার হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।