বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনি শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ।
এছাড়া, লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে লন্ডনের “দ্য লন্ডন ক্লিনিক” হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন লন্ডনের বসবাসরত বাংলাদেশি সাংবাদিক শাহেদ শফিক।
শাহেদ শফিক জানান, ডা. জাহিদ বলেছেন, “বেগম জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছান যায়নি। বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার নতুন করে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সেসব রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্টে যদি সব ঠিক থাকে তাহলে সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল থেকে তার ছুটি হতে পারে। এরপর তিনি বাসায় ফিরবেন।”
বেগম খালেদা জিয়ার এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, “পরবর্তীতে বাসা থেকে নিয়মিত চিকিৎসা নিবেন। সার্বক্ষণিকভাবে প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি ও জেনিপার ক্রসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকবেন।”
ডা. জাহিদ আরও বলেন, “গত ১৭ দিনে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। দুই একটি রিপোর্ট এখনও আসেনি। কয়েকটি পরীক্ষা ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’ করা যায় না, সেগুলো বাহিরের হাসপাতাল থেকে করাতে হয়। তবে খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে আগের চেয়ে এখন অনেকটাই বেটার আছেন।”
খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে না আসার কারণ জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, “ম্যাডামের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। কারণ, বয়সটা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। তা ছাড়া জেলে রেখে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।”
ডা. জাহিদ আরও বলেন, “দ্যা লন্ডন ক্লিনিকের ডাক্তাররা বলছেন, আরও অনেক আগে ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে আসা গেলে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা যেত। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যেতেন। এখন ওষুধের মাধ্যমে উনার যে চিকিৎসা চলছে তা অব্যাহত রাখার জন্য সব চিকিৎসকরা একমত এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে।”
এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কায়সার এম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।