তিস্তাপারের মানুষের কষ্টের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “একদিকে ভারত পানি দেয় না, আরেক দিকে আমাদের যে শত্রুকে দিল্লিতে রাজার হালে বসিয়ে রেখেছে। ওখান থেকে তিনি বিভিন্ন রকম হুকুম জারি করেন। কী করুণ অবস্থা তাদের (তিস্তাপারের ভুক্তভোগী মানুষ)। আজকে একদিকে তারা (ভারত) পানি ছেড়ে দেয়, পানির তোড়ে ঘরবাড়ি, সম্পদ ভেসে যায় ও নষ্ট হয়। আবার যখন বাঁধের মাধ্যমে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়, তখন এই এলাকার খরায় শুকিয়ে খটখট হয়ে যায়। তিস্তাপারের মানুষের দুঃখ আর যায় না।”
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’’র অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা বহুদিন আগে থেকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য কথা বলছি। আওয়ামী লীগের সরকার এলো। শুরুর দিকে সবাই ভাবল, ভারতের বন্ধু আওয়ামী লীগ। সুতরাং তিস্তার পানি বোধ হয় এবার পাবো। কিন্তু ১৫ বছরে লবডঙ্কা-কিছুই না। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বেঁচে দিয়েছেন, কিন্তু তিস্তার এক ফোঁটা পানিও আনতে পারেন নাই।’’
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘‘মরহুম জননেতা একদিন ফারাক্কা মার্চ করেছিলেন গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য। আজকে একইভাবে আসাদুল হাবিব দুলু (বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক) তিস্তার ১১টি পয়েন্টে হাজার হাজার মানুষকে জড়ো করে ডাক দিয়েছেন, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’। এটা কোনো স্লোগান নয়, এটা তিস্তাপারের মানুষের বাঁচার আহাজারির আওয়াজ উঠে আসছে।’’