সাবেক সামরিক ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল। দলটির নাম দেওয়া হয়েছে “জনতার দল”। “ইনসাফ জিন্দাবাদ” হবে নতুন দলটির স্লোগান।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নতুন দলটি আত্মপ্রকাশ করে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল এই দলের আহ্বায়ক। মেজর (অব.) ডেল এইচ খানকে দলের প্রধান সমন্বয়ক ও মুখপাত্র করা হয়েছে। দলটির আহ্বায়ক ও সমন্বয়ক ছাড়া আর কোনো নেতার নাম ঘোষণা করা হয়নি। জনতার দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে ঈদের পর।
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানান, সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের প্রাধান্য থাকলেও নতুন দলে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষদের অংশগ্রহণ থাকবে। জনতার দল সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। যাদের নিয়ে সমাজে বিতর্ক নেই, এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী করতে চান তারা।
এই দলে আছেন বেশিরভাগ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা। তাদের সঙ্গে আছেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। তাদের মধ্যে গণমাধ্যমের মালিকানা আছে এমন ব্যবসায়ীও আছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহতদের পরিচয় এবং সম্মাননা জানানো হয়।
দলের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক দর্শন ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনে নেতা তৈরি হতে দুই ঘণ্টাও সময় লাগে না। আমরা ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত বিষয় নিয়ে অহেতুক তর্কে জড়াতে চাই না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধুমাত্র সৎ সাহসী শিক্ষিত দেশপ্রেমিক নিষ্ঠাবান মানুষ নিয়ে এগুতে চাই। এতে যদি আমাদের ১০ জন লোক থাকে সেই ১০ জন নিয়েই এগোতে চাই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিগত দিনের ইতিহাস দেখেছি তাদের সময় শেষ হওয়ার আগে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।”
শামীম কামাল বলেন, “আমাদের দলীয় অ্যাকাউন্ট পাবলিক করে দেবো। সবাই দেখতে পারবেন। আমরা সব রাজনৈতিক দল যেদিকে চলে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে চলতে চাই।”
জনতার দল আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টির) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাজনীতিবিদ আজম খান, মেজর জেনারেল (অব.) ফজল ইবনে শারেখুজ্জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, মেজর জেনারেল (অব.) ইসমাইল ফারুক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা মাস্তুক হাসান জয় প্রমুখ।
এছাড়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও এনজিও প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকেও বক্তব্য রাখা হয়।