বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১৩টিতে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার নিয়ে নিজেদের লিখিত মতামত জমা দেয় এনসিপি। পরে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় দলটির সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মুনিরা শারমিন, জাবেদ রাশিম, আরমান হোসাইন ও সালেউদ্দিন সিফাত উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেছে, যে সুপারিশগুলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন।
সারোয়ার তুষার বলেন, “তারা ১১৩টি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছেন। ২৯টি প্রস্তাবের বিষয়ে আংশিকভাবে একমত হয়েছেন। স্প্রেডশিটে মতামত জানানোর পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে তারা মন্তব্য করেছেন; কেন একমত হননি, সেটাও সেখানে তুলে ধরা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এনসিপি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদদের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। তবে তারা বলেছে, নির্বাচনের আগেই উচ্চকক্ষের প্রার্থী কারা- তা দলগুলোকে ঘোষণা করতে হবে। কারণ নির্বাচনে একজন ভোটার একটি ভোট দেবেন। সে ক্ষেত্রে তার জানার অধিকার আছে উচ্চকক্ষে কারা বসতে যাচ্ছেন।”
এনসিপি আরও বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হতে হবে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মেয়াদ ৭০-৭৫ দিন হতে পারে। একটা পর্যায়ে গিয়ে এই সরকারের প্রয়োজন হবে না। সংবিধানে যে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তখন সেই কাউন্সিলে এই দায়িত্ব নিতে পারে।