Wednesday, July 09, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

‘একটা দলকে খুশি করতে বাংলাদেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’

নাসিরউদ্দীন বলেন, ‘লন্ডনে বসে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মিটিং দেশবাসীর স্বার্থ ও গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা’

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম

শুধু একটা দলকে খুশি করার জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, “এটা বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সঙ্গে প্রতারণার সামিল। ১৯৯০ সালেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা সামাজিক চুক্তি হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশেকে পুরোনো রাজনীতিতে ফেরত নেওয়া হয়েছিল।”

শুক্রবার (১৩ জুন) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

নাসিরউদ্দীন বলেন, “লন্ডনে বসে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মিটিং দেশবাসীর স্বার্থ ও গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা। শহিদদের রক্তকে অবমাননা করে বিদেশের মাটিতে মিটিং আয়োজন কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে দেশের জনগণের মাধ্যমে, বিদেশি আলোচনায় নয়।”

নাসীরুদ্দীন স্পষ্টভাবে জানান, “বর্তমান সরকার যদি সংস্কার, বিচার ও সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়, তাহলে এনসিপি দ্বিতীয় গণ-অভ্যুত্থানের দিকে যেতে বাধ্য হবে। এমনকি এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনে ব্যর্থ হলে এনসিপি কোনো নির্বাচনেও অংশ নেবে না।”

বিএনপির অবস্থান নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিএনপি একসময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানালেও এখন রোজার আগের সময়সীমায় এসে পৌঁছেছে। কিন্তু তারা এখনও জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র, বিচার বা নতুন সংবিধান নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব দেয়নি। ফলে এটি বোঝা যাচ্ছে, তারা কেবল ক্ষমতার লোভে যুক্ত হয়েছে, গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করছে না।”

নাসীরুদ্দীন বলেন, “অন্তর্বতী সরকার ও বিএনপি একযোগে দেশের জনগণকে পাশ কাটিয়ে একটি গভীর সংকট তৈরি করছে। জনগণ অতীতেও লড়াই করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সরকারই বৈধ হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু নির্বাচন করলেই হবে না, সঠিক বিচার ও সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের অর্থ নেই। এখনকার নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থার প্রতীক নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে কাজ করছে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, আরপিও সংশোধন এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন না হলে দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব নয়।”

   
Banner

About

Popular Links

x