শেষ পর্যন্ত পারেনি আয়াক্স। পুরো টুর্নামেন্টে জায়ান্ট কিলারের ভূমিকায় খেলেছে তারা। সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ডাচ ক্লাবটি। দ্বিতীয় লেগে টটেনহামের অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লুকাস মউরার দাপটে বিচূর্ণ হয়েছে তারুণ্যে ভরা আয়াক্সের চলতি মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
উদ্যমী আয়াক্সেরই দুই মুসলিম খেলোয়াড় হাকিম জিয়েখ ও নোসাইর মাজরাওই। দলের প্রতি দু'জনের দায়িত্ববোধের কথাও সবাই জানেন। তবে ফুটবল মাঠের কঠোর পরিশ্রমের মধ্যেও তারা ভুলে যাননি ধর্মীয় রীতির কথা। ডেইলি মেইল বলছে, মুসলমানদের জন্য অবশ্য পালনীয় রোজা রেখেই তারা সেদিন নেমেছিলেন মাঠে।
সেদিন আমস্টারডামে সন্ধ্যা নেমেছিল ৯টা ১৭ মিনিটে। আর খেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল তার আগেই। ম্যাচের ২২তম মিনিটে প্রথমবারের মতো পানি পানের সুযোগ পান তারা। ততক্ষণে ইফতারের সময় শুরু হয়ে গড়িয়েছে অতিরিক্ত আরও পাঁচটি মিনিট।
ইফতারের সময় টাচলাইনের কাছে গিয়ে এনার্জি জেল খেয়ে নেন মাজরাওই।
অন্যদিকে, রোজা ভেঙেই চমক দেখিয়েছিলেন জিয়েখ। ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
শুরুর স্কোয়াডে দু'জন রোজাদার খেলোয়াড়কে নিয়েই প্রথমার্ধ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল আয়াক্স।
সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের পাঁচ মিনিটেই ম্যাথিস ডি লিটের হেডে এগিয়ে গিয়েছিল আয়াক্স। তারপর ৩৫তম মিনিটে জিয়েখের দুর্দান্ত শট ব্যবধান দ্বিগুণ করে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ যে তখনও বাকি! বাকি 'লুকাস মউরা শো'! কে জানত দুই লেগ মিলিয়ে তিন গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও ঘরের মাঠে হেরে বিদায় নিতে হবে আয়াক্সকে?
ম্যাচ হারার পর জিয়েখ অবশ্য দুষেছেন নিজেকেই। "আমার শটগুলো বারে লেগে ফিরে এলো। অন্তত একটা গোল হতে পারত। আমরা সবটুকু দিয়ে খেলেছি। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হইনি," বলেন তিনি।