ফুটবল খেলায় একজনের নিয়ন্ত্রণে সব কিছু পরিচালিত হয় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে কোচের পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে দল সামনে এগিয়ে যায়। তারপরও অনেক কিছু নির্ধারণ হয় দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের উপর। আর্জেন্টিনা দলেও এমন একজন আছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপটা তেমন একটা স্বস্তিদায়ক ছিল না আর্জেন্টিনার জন্য। দল গোছাতে কোচ সাম্পাওলির ভুল কিংবা ব্যর্থতা যাই বল হয় না কেন, এই সব নিয়ে অনেকটাই বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। এই বিশ্বকাপে ব্যর্থতা জন্য কোচকেই দায়ী করেছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞ ও ভক্তরা। কিন্তু ভিন্ন চিত্র আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমে। সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম। যেখানে বলা হয়েছে দলের একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অধিনায়ক লিওনেল মেসি প্রভাব খাটিয়েছেন। ডিফেন্ডার ফেদেরিকো ফাসিও আর মিডফিল্ডার জিওভান্নি লো সেলসোকে দলে না রাখতে কোচকে সরাসরি বারণ করেছেন মেসি!
মাঠের অনুশীলনের সময় কোচ সাম্পাওলির সহকারী একজন কোচ সেবাস্তিয়ান ব্যাচ্চাচেচে মেসিকে নির্দেশনা দিয়ে ভুল শোধরানোর পরামর্শ দিচ্ছিলেন। বিষয়টি খুব একটা ভালো লাগেনি মেসির। কোচ সাম্পাওলিকে জানান, তাঁর সঙ্গে যেন এমন কিছু আর না হয়।
জানা গেছে, পিএসজির হয়ে ফর্মে থাকা ফাসিও আর সেলসোকে একাদশে রাখতে কোচকে নিষেধ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। অনুশীলনে নাকি ‘ফুটবল টেনিসে’ সেলসো হারিয়ে দিয়েছিলেন মেসিকে। বিব্রত হওয়ার বিষয়টি ভুলতে পারেননি অধিনায়ক এমনটাই দাবি করেছেন, আর্জেন্টিনার একটি গণমাধ্যম।
শেষ ষোলোতে ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিল ফাসিও। কিন্তু সেলসোর বিশ্বকাপে খেলা হয়নি এক মিনিটও। আবার বিশ্বকাপে মাউরো ইকার্দির আর্জেন্টিনা দলে না থাকার পেছনে মেসির দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়েছে। ধারণা করা হয়েছে, মেসির সঙ্গে বন্ধুত্ব ততটা গাঢ় না হওয়ায় দলে জায়গা হয়নি তার।
তবে, সব গুঞ্জন কিংবা রটনা কখনও ছড়িয়ে যায় বিতর্কের তীর সীমানায়। পর্দার আড়ালের গল্পটা হয়ত জানা হয় না সমর্থক কিংবা সমালোচকদের। মাঠের বাস্তব চিত্রই ইঙ্গিত পায় আড়ালের গল্পের। তাইতো কখনও তা ড্রেসিং রুম পেরিয়ে খোলাসা হয় দর্শক সম্মুখে।