তারকা বলেই তো আলোচনায়-সমালোচনায় সিক্ত হয় খেলোয়াড়। তাই বলে দমে থাকলে তো চলবে না। সমর্থকদেরকে জবাব দিতে হয়। কখনও বা সমালোচকদের বুঝিয়ে দিতে হয় তুমি ভুল। তবে এইসব কোন কিছু যেন পাশ কাটেন না ব্রাজিল তারকা নেইমার। তাঁর চিন্তায় হয়ত এই সব কল্পকাহিনী ঘুরপাক খায় না। তবে তাঁকে নিয়ে ভাবেন অন্য সকলে। যেমনটা বিশ্বকাপ শেষে দলের ব্যর্থতার দায় একা নেইমারের ওপর চাপানো উচিত নয় বলে দাবী করেন ব্রাজিল তারকা কাকা।
এইবার নেইমারের আরেক সতীর্থ আলভেস দাঁড়ালেন তাঁর পাশে। তাইতো বিশ্বকাপে নেইমারকে নিয়ে সমালোচনায় বাড়াবাড়ি ছিল বলে মনে করেন আলভেস। প্রসঙ্গত বিশ্বকাপে বারবার ফাউলের শিকার হয়ে রেফারির সহানুভূতি পেতে অভিনয় করে অনেক সমালোচিতও হন নেইমার।
সাও পাওলোতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রাতে নেইমারের একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আলভেস জানান, “ অনেক বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে। আমি এমনটাই মনে করি।”
অনেকটা ক্ষোভের স্বর আলভেসের কন্ঠে, “নেইমার যা কিছু করে তাই সংবাদ হয়ে যায়। সে যদি আবেগতাড়িত হয় তারা সমালোচনা করে। সে যদি চুল রং করে তারা সমালোচনা করে। আমি এসব মানুষকে নেইমারের জায়গায় দেখতে চাই।”
ফুটবলারদের সব কিছু নজের রাখতে হয় না। কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হয়। এমনটাই মনে করে আলভেস, “আমাদের সেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে যা আমাদের পরিণত করবে এবং যা আমাদের সত্যিকারের মানুষ হতে সহায়তা করবে। আর বাকি সবকিছুই তুচ্ছ বিষয়।”
সমালোচকদের বুঝিয়ে দিলেন সবসময় সমালোচনা ভালো কিছু বয়ে আনে না। তাই তো ইঙ্গিত দিলেন, “সমালোচনা করা দুর্বলের অস্ত্র। আমি বিশ্বাস করি, আমরা ফুটবল খেলোয়াড়রা সবসময় দলের জন্য ও আমাদের সতীর্থদের জন্য সেরাটা করার চেষ্টা করি।”
নেইমারকে ভালো করেই জানেন আলভেস। তাইতো তাঁর প্রতি সবার নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন, “যারা নেইমারকে জানে তারা তার অসাধারণ গুণাগুণের ব্যাপারটাও জানে। তারা জানে, সে কতটা স্পেশাল। আমি আবারও জোর দিয়ে বলছি, এমন খেলোয়াড়দের যত্ন নেওয়া দরকার আমাদের।”
আরও একবার সমালোচকদের উদ্দেশ্যে জানান, “নেইমার ও এই পর্যায়ের খেলোয়াড়দের সমালোচনা করা সহজ। তবে তারা যা করে সেটা করা কঠিন।”