আক্রমণভাগের শক্তি দেখালো ফ্রান্স। অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান, উসমান দেম্বেলে ও কিলিয়ন এমবাপের একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে ইতালির রক্ষণকে। আর সেই আক্রমণগুলো থেকে লক্ষ্যভেদ করে রাশিয়া বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসী হয়ে যাচ্ছেন গ্রিজম্যান ও দেম্বেলে। এমবাপে গোল না পেলেও স্যামুয়েল উমতিতির করা দলের প্রথম গোলে রেখেছেন ভূমিকা।
ইতালির দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছিলেন রবার্তো মানচিনি। বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার হতাশা কাটানোর বড় একটা উপলক্ষ হতে পারতো তাদের ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়। কিন্তু তারকাসমৃদ্ধ ‘লে ব্লুজ’-এর বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি আজ্জুরিরা। নিসের ম্যাচের অষ্টম মিনিটে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায় উমতিতির লক্ষ্যভেদে। এমবাপের শট ইতালির গোলরক্ষক প্রতিহত করলেও ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি, ছুটে আসা বল ছোট বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার।
এরপর শুরু ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা। আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েছে তারা সফরকারীদের রক্ষণে। তেমনই এক আক্রমণে বল নিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন লুকাস এর্নান্দেস, তাকে আটকাতে গিয়ে নিজেদের সীমানায় ফাউল করেন ইতালির এক ডিফেন্ডার। তাতে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ২৯ মিনিটে পাওয়া স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন গ্রিয়েজমান।
তবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইতালি ৩৬ মিনিটে, যখন লিওনার্দো বনুচ্চির লক্ষ্যভেদে এক গোল শোধ করে আজ্জুরিরা। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মারিও বালোতেল্লির নেওয়া বুলেট গতির ফ্রি কিক গ্ল্যাভসে আটকাতে পারেননি ফরাসি গোলরক্ষক উগো লরি। ফসকে যাওয়া বল বক্সের ভেতর থেকে জালে জড়িয়ে দেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার।
যদিও খেলা থেকে ইতালি একেবারেই ছিটকে যায় ৬৩ মিনিটে, যখন তারা হজম করে তৃতীয় গোল। দেম্বেলের করা গোলটি ছিল দেখার মতো। বক্সের ভেতরে বাঁ প্রান্ত থেকে ভাসানো শটে বল জড়িয়ে দেন তিনি জালে। যাতে বিশ্বকাপের আগে আক্রমণভাগে নিজের কার্যকারিতার প্রমাণ দিয়ে রাখলেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।