মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পর্তুগালের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ওই টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন, এ ধরনের কোনও অপরাধ তিনি করেননি এবং তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের পাম ক্যাসিনোর রিসোর্টে অবস্থিত নাইট ক্লাবে মায়োর্গাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল জার্মান ম্যাগাজিন ডের স্পেগেল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাস পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৯ সালের জুনের ওই অভিযোগের ভিত্তিতে করা তদন্তে সন্দেহজনক কিছুই খুঁজে পাননি তারা।
বৃহস্পতিবার ক্যাথরিন মায়ের্গোর আইনজীবিরা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন রোনালদোর নামে। মামলার ফলে ২০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে রোনালদোকে। এ সংক্রান্ত সব প্রতিবেদন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মায়োর্গার আইনি দল।
নিজ টুইটবার্তায় রোনালদো জানান, “আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে তা দৃঢ়ভাবেই অস্বীকার করছি। ধর্ষণ একটি ঘৃণ্য অপরাধ। এটি এমন অপরাধ যা আমার নিজস্ব বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ একটি বিষয়। আমি এটি থেকে নিজের নাম মুছে ফেলতে চাই। আর যারা আমার নাম ব্যবহার করে গণ্যমাধ্যমে নিজেদের প্রচারণা চালাতে চাইছেন, তাদেরকে সেই সুযোগ দিবো না আমি। তদন্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি।”
এদিকে সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও তাতে উপস্থিত হননি মায়োর্গার। এ বিষয়ে তার আইনজীবী স্টোভাল জানান, “মায়োর্গার মানসিক যে অবস্থা, তাতে সে জনসম্মুখে হাজির হতে পারছে না। এটা তার জন্য স্বস্তির কোনও বিষয় না।” তার আইনজীবী আরও জানান, এমন ঘটনার পর মায়োর্গা বিষণ্ণতায় ভুগেছেন ভয়ানক ভাবে।”
সোমবার লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গত মাস থেকে মায়ের্গোর মামলাটি নিয়ে পুনরায় আবারও তদন্ত শুরু করেছেন তারা। তবে রোনালদোর বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি নিয়ে এবং সাম্প্রতিক অভিযোগ অস্বীকারের প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য জানাতে রাজি হয়নি পুলিশ।