এক পায়ের দড়ি লাফ খেলায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই করে নিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ২১ বছর বয়সী রাসেল। জেলাবাসী মনে করেন তার এ সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে ঠাকুরগাঁওয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে।
রাসেল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার রহমানপুর ইউনিয়নের সিরজাপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
গত ২৯ জুলাই তিনি অনলাইনে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সনদপত্র পান।
বিশ্বরেকর্ড অর্জনকারী রাসেল ইসলাম বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দড়ি লাফ খেলে বিশ্বরেকর্ড করার স্বপ্ন ছিল আমার। ইন্টারনেটে স্কিপিং রোপের বিভিন্ন ভিডিও দেখতাম। এমনকি, স্কিপিং রোপে কতবারে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে তা নজরে রাখতাম। স্বপ্ন দেখতাম বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে নিজের নতুন রেকর্ড করার।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি নিজেকে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। এটা আমার ও দেশের জন্য অনেক বড় সম্মান। অবশ্যই অনেক অনেক ভালো লাগছে আমার।’’
২০১৯ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চ্যালেঞ্জের জন্য আবেদন করেন তিনি। স্কিপিং রোপের ওপর দুটি বিষয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। একটি ৩০ সেকেন্ড ও অপরটি এক মিনিটের চ্যালেঞ্জ।
এক পায়ে ৩০ সেকেন্ড স্কিপিং রোপে ১৪৪ বার লাফানোর বিশ্বরেকর্ড থাকলেও রাসেল করেছেন ১৪৫ বার। আর ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৬ বার লাফানোর বিশ্বরেকর্ড ভেঙে রাসেল লাফিয়েছেন ২৫৮ বার। আর এর মাধ্যমে নতুন রেকর্ড নিজের করে নেন রাসেল।
রাসেলের বাবা বজলুর রহমান বলেন, “ছোটবেলা থেকেই রাসেল একটি দড়ি নিয়ে লাফাত। আর আমাকে বলত, একদিন এই খেলা দিয়েই সে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। আজ সত্যিই সে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে।”
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “রাসেল ইসলাম দড়ি লাফ খেলায় ৩০ সেকেন্ডে এক পায়ে ১৪৫ বার ও এক মিনিটে এক পায়ে ২৫৮ বার দড়ি লাফ দেয়ার মাধ্যমে দুটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন।”
এমনকি, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাসেলকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হবে বলেও জানান তিনি।