ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেল অধিনায়ক সালমা খাতুনের টিম টাইগ্রেসের নাম। ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয় করলো বাংলাদেশের নারীরা। কেবল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটেই নয়, পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের বাইরে প্রথম বারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা!
কুয়ালালামপুরে কিনরারা ওভালে টচে জিতে ভারতকে বাইশ গজে পাঠান টাইগ্রেস অধিনায়ক সালমা খাতুন। গতকালের ক্ষুরধার বোলিংয়ের ধারটা যেনো আরোও শাণিত। মাত্র ১২ রানেই ওপেনার মানধানাকে হারিয়ে চাপে পরে যায় ভারত। খাদিজা-রুমানাদের বোলিং তোপে পরে আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি কেউ। নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারাতে থাকা ভারতের হয়ে হারমানপ্রিতের ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান পাননি কেউই। খাদিজা ও রুমানা শিকার করেন ২ টি করে উইকেট এবং সালমা ও জাহানারা উইকেট পেয়েছেন ১টি করে।
জবাবে ব্যাট হাতে শুরুটা ইতিবাচক হলেও ৩৫ রানে দুই ওপেনারকে আয়েশা ও শামিমাকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে ফারজানা-নিগার-রুমানার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচে চালকের আসন পায় টিম বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১১ রানে ফারজানা ফিরে গেলেও ২৪ বলে নিগার সুলতানার ২৭ আর রুমানা ২২ বল মোকাবিলা করে সংগ্রহ করেছেন ২৩ রান।
এশিয়া কাপের ফাইনাল মানেই যেন নাটকীয়তা। ২ বলে ২ রান বাকি থাকতেই অনাকাঙ্খিত রানআউটের ফাঁদে পড়েন ক্রিজের সেট ব্যাটসম্যান রুমানা। শেষ বলে অধিনায়ককে অপর প্রান্তে দেখে সেই সাহসী কাজটিই যেনো করলেন জাহানারা আলম। ভারতের হয়ে পুনাম যাদব নেন ৪টি উইকেট, হারমানপ্রিতের শিকার ২টি।
ব্যাটিং ও বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টে আলো ছড়িয়ে ম্যাচসেরা রুমানা আহমেদ।
স্কোরঃ
ভারত ১১২/৯ (হারমানপ্রিত ৫৬; খাদিজা ২/২৩, রুমানা ২/২২)
বাংলাদেশ ১১৩/৭ (নিগার ২৭, রুমানা ২৩; পুনাম ৪/৯, হারমানপ্রিত ২/১৯)