সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়ার্ডদের গোলের জন্য হাপিত্যেশ করার দৃশ্য নতুন কিছু নয়। চলমান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তা আরও স্পষ্ট। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ গোল করলেও তার কোনোটিই স্ট্রাইকারদের পা থেকে আসেনি।
তারপরেও দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ-খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু দলের ফরোয়ার্ডদের গোলক্ষরা ভাবনার বিষয় হলেও বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ অস্কার ব্রুজন এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না। বরং তিনি বিষয়টিকে নিচ্ছেন ইতিবাচকভাবেই।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের বিরুদ্ধে আসন্ন ম্যাচের ম্যাচ পুর্ব সংবাদ সম্মেলনে অস্কার ব্রুজন বলেন, “আমি আসলে ব্যাপারটিকে এভাবে দেখছি না। ভারতের বিপক্ষে ইয়াসিনের (আরাফাত) গোলের পেছনে মিডফিল্ডার জামাল ভুঁইয়া ও উইঙ্গার রাকিবের (হোসেইন) অবদান ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তপুর (বর্মণ) গোলটি পেনাল্টি থেকে আসলেও পেনাল্টিটির কারিগর ছিল দুই মিডফিল্ডার বিপলু (আহম্মেদ) ও ইব্রাহিম (মোহাম্মদ)। আমার দলে ১১ জন ফরোয়ার্ড এবং ১১ জন ডিফেন্ডার আছে। দলের প্রয়োজনে তারা গোল করতে পারে এবং একইসঙ্গে ডিফেন্সও সামাল দিতে পারে।”
নিজের দলকে নিয়ে ব্রুজন আত্মবিশ্বাসী থাকলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষ এবং উইঙ্গার জাহিদ হোসেনকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। ইনজুরির কারণে মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদের খেলা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
অস্কার ব্রুজন অবশ্য তাদের অনুপস্থিতিকে দলের অন্য খেলোয়াড়দের জ্বলে ওঠার সুযোগ হিসেবেই দেখছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইনজুরি এবং নিষেধাজ্ঞা খেলারই একটি অংশ। এটি নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত না। আমি মনে করি নতুন খেলোয়াড়দের জন্যে এটি নিজেকে প্রমাণ করার একটি সুযোগ। আমার বিশ্বাস করি সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে দলে অবদান রাখতে তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা দেবে।”