এক বছর ধরে রিয়াল মাদ্রিদে যোগদানের ব্যাপারে জোর গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত পিএসজিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফরাসি ফুটবল তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে মা্দ্রিদকে। এদিকে, কথা দিয়েও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে না আসায় বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কথা। তবে সামগ্রিকভাবে এমবাপ্পের সিদ্ধান্তে বেশ নাখোশই হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের সঙ্গে ২০২৫ পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেছেন এমবাপ্পে। লাপোর্তার ধারণা, এমবাপ্পের সিদ্ধান্তটি দলবদলের বাজারে একটি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। শুধু তাই না, প্যারিসের সঙ্গে হওয়া তার নতুন চুক্তিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূলনীতির বিরুদ্ধে বলেও অভিহিত করেছেন কাতালান ক্লাবটির সভাপতি।
বুধবার (২৫ মে) কাতালান দৈনিক এল'এস্পোর্তিউকে লাপোর্তা বলেন, “টাকার কাছে খেলোয়াড়রা কারাগারের কয়েদির মতো জিম্মি।”
লাপোর্তার ইঙ্গিতটা যে প্যারিসের ক্লাবটির অঢেল অর্থের দিকে, তা স্পষ্ট। বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যায় যখন বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট সরাসরি পিএসজির কাতারি মালিকানাকে এক হাত নিয়েছেন।
লাপোর্তা বলেন, “যখন একটি ক্লাবের পেছনে পুরো রাজ্যের সমর্থন থাকে, তখন এ ধরনের ঘটনাই ঘটে। বিষয়গুলো ফুটবলের টিকে থাকার ওপর প্রভাব ফেলে।”
বার্সেলোনা সভাপতি আরও বলেন, “চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের শক্তি না বাড়ার কারণে মাঠের খেলায় যেহেতু তারা আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে না তা আমাদের জন্য বেশ ইতিবাচক। তবে এর মধ্যে ফুটবল নামক খেলাটির টিকে থাকার মতো বিষয়টিও জড়িত।”
প্রসঙ্গত, পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পে নতুন চুক্তি করার ঘোষণার পরপরই ফরাসি ক্লাবটির বিপক্ষে ইউরোপীয় ফুটবলের আর্থিক নকশা রক্ষার বিষয়ে আইনি আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছিল স্প্যানিশ লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের চুক্তি নবায়নের পর নেইমারের ক্লাব ছাড়া এবং বার্সেলোনায় প্রত্যাবর্তন নিয়েও গুজব উঠেছে। তবে কাতালান ক্লাব থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিয়ের বিনিময়ে প্যারিসিয়ান ক্লাবটিতে ব্রাজিলিয়ান তারকার যোগদানের কথা যে তিনি ভুলে যাননি সেটিও জানিয়ে দিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে লাপোর্তা বলেন, “পিএসজির সঙ্গে তার (নেইমার) চুক্তির এখনও ৪-৫ বছর বাকি রয়েছে। পিএসজির মতো ক্লাবে যেসব খেলোয়াড়রা যোগ দেয়, তারা অর্থের কাছে দাসত্ব বরণ করে নেয়।”