ত্রি-দেশীয় আয়োজকদের ১৩৪ ভোটের বিপরীতে মাত্র ৬৫ ভোট পেয়ে ৫ম বারের মতো আয়োজকের তালিকা থেকে ছিটকে গেলো মরক্কো। আর এ আসর থেকেই ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব।
আয়োজনের জন্য ‘বিড’কারী দুই পক্ষকে মস্কো এক্সপোসেন্টারে ১৫ মিনিট করে প্রেজেন্টেশনের শেষ সুযোগ দেয়া হয়। উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে বলা হয় এ আসরে তারা সম্ভাব্য ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করবে। অন্যদিকে মরক্কো জানায় তাদের দেশে এমন আয়োজনে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা হওয়া সম্ভব।
ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই হবে প্রথম ত্রি-দেশীয় আয়োজন। মোট ৮০টি ম্যাচের ১০টি কানাডায়, ১০টি মেক্সিকোতে আর বাকি ৬০টি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্টিত হবে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
ফিফা কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ইউএস সকার ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কার্লোস কোর্ডিয়েরো বলেন, “২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে আমাদের প্রতি আস্থাবান হওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ।” তিনি যোগ করেন, “আজকের জয় কেবলই ফুটবলের।”
এর আগে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ১ বার এবং ১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো মোট ২ বার ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করলেও কানাডা এবারই প্রথম আয়োজন করতে যাচ্ছে। অবশ্য ২০১৫ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশটির।
২০১০ সালের সম্মেলনে তৎকালীন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৮ তে রাশিয়া ও ২০২২ এ কাতারকে আয়োজক হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়। পরে দূর্নীতির দায়ে সেই কমিটির অনেককেই পদচ্যূত করা হয়।
বর্তমানে ফিফার প্রত্যেক সদস্যদেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ভোটের মাধ্যমে আয়োজক নির্বাচনের বিধান করা হয়েছে। দেশে দেশে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগও থাকছে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফেন্তিনো ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনের স্বচ্ছ্বতা নিয়ে সন্তুষ্ট ও প্রথমবারের মতো ত্রি-দেশীয় আয়োজনের ব্যাপারে রোমাঞ্চিত।