দলবদলের বাজারে লিডস ইউনাইটেডের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহা অনেক আগে থেকেই বার্সেলোনার নজরে রয়েছেন। তবে ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে কাতালানরা এখনও এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের দলবদলের বিষয়ে কোনো মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি।
অন্যদিকে, এর মধ্যে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার অপেক্ষায় চেলসি। রাফিনহাকে দলে টানার জন্য ব্লুজদের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে লিডস। তবে যাকে ঘিরে এত আলোচনা সেই রাফিনহা যেতে ইচ্ছুক বার্সেলোনায়। সব মিলিয়ে রাফিনহার দলবদল জটিল হতে যাচ্ছে নিঃসন্দেহে।
বার্সেলোনার সঙ্গে ওসমান ডেম্বেলের আনুষ্ঠানিক চুক্তি শেষ হয়েছে ৩০ জুন। ফরাসি উইঙ্গারের অভাব পূরণ করার জন্যই লিডস থেকে ব্রাজিলিয়ান রাইট উইঙ্গারকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। রাফিনহাও আগ্রহী ছিলেন কাতালান ক্লাবটিতে পা রাখতে।
কিন্তু শুধু রাফিনহা চাইলেই তো হবে না, ২০২০ সালে রেনেস থেকে তাকে দলে টানা লিডসকেও রাজি হতে হবে। এখানেই ব্যর্থ হয়েছে বার্সেলোনা। রাফিনহাকে দলে টানতে এখন পর্যন্ত লিডসের কাছে বার্সেলোনা যতগুলো প্রস্তাব দিয়েছিল, তার কোনোটিই ইংলিশ ক্লাবটির মনোঃপুত হয়নি।
Barcelona proposal for Raphinha is official and written, already sent - Leeds have no intention to accept that bid, as things stand. ??? #Raphinha
— Fabrizio Romano (@FabrizioRomano) June 30, 2022
Leeds want to respect the agreement with Chelsea - still waiting for player and Deco to accept. #CFC
Barça, trying until the end. pic.twitter.com/iu8re179qN
এদিকে, আচমকাই রাফিনহার দলবদলে আগমন ঘটে চেলসির। গত মঙ্গলবার রাফিনহার জন্য লিডস ইউনাইটেডের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল চেলসি। বিভিন্ন ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডনের ক্লাবটির দেওয়া ৬০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব মেনে নিয়েছে লিডস ইউনাইটেড।
তবে কাতালান সংবাদমাধ্যম স্পোর্ট এবং মুন্ডো দেপোর্তিভো জানাচ্ছে, লিডস মেনে নিলেও রাফিনহা এখনও ব্যক্তিগতভাবে বার্সেলোনায় যেতেই বেশি আগ্রহী। এ সপ্তাহে রাফিনহার এজেন্ট ডেকোর সঙ্গে বার্সেলোনা ডিরেক্টর মাতেও অ্যালেমানে বেশ কয়েকবার বৈঠকেও বসেছেন।
মার্কিন বিনিয়োগকারী সংস্থা সিক্সথ স্ট্রিট পার্টনারসjc আগামী ২৫ বছরের জন্য ক্লাবের টিভি স্বত্বের ১০% বিক্রির পর লিডসের কাছে রাফিনহার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়েছে বার্সেলোনা। তবে ইংলিশ ক্লাবটি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বরং চেলসির সঙ্গে হওয়া দেনদরবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বেশি আগ্রহী। তবে রাফিনহা এবং তার এজেন্ট ব্যক্তিগত শর্তে বনিবনা না হলে এ দলবদল আলোর মুখ না দেখার সম্ভাবনাই বেশি।
সব মিলিয়ে আগামী মৌসুমে রাফিনহার গন্তব্য কোথায় হবে, তা নিয়ে এখনও ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে তার দলবদল যে চরম নাটকীয় হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।