স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শিরোপার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সব ব্যক্তিগত ও দলীয় পুরস্কারও গিয়েছে বাঘিনীদের ঝুলিতেই।
পুরো টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষের জালে ২৩ বার বল জড়িয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এর মধ্যে নিজের নামের পাশে ৮ গোল নিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ৬ষ্ঠ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
শুধু সর্বোচ্চ গোলদাতাই না, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও জিতে নেয়েছেন সাবিনা। নিজে গোল করার পাশপাশি সতীর্থদের গোলে অবদান রাখায় গ্রুপপর্বে পাকিস্তান এবং শেষ চারে ভুটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা সাবিনার হাতেই ওঠে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন- বাঘিনীদের দক্ষিণ এশিয়া জয়
নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল বাদের পুরো আসরে কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ, যার সিংহভাগ ভূমিকাই বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমার। এবারের নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা গোলরক্ষকের সম্মাননাও তাই জিতে নিয়েছেন তিনি।
এছাড়া, টুর্নামেন্টের ফেয়ার প্লে ট্রফিও গিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ঝুলিতেই।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে সেবার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে ছয় বছর পর সেই দুঃস্বপ্নের ক্ষতে প্রলেপ দিলো বাংলাদশের মেয়েরা।
এর আগে ৮ বারের দেখায় নেপালের বিরুদ্ধে কখনোই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ (৬ হার এবং দুই ড্র)। তবে কৃষ্ণা রানী সরকারের জোড়া গোল আর শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়েই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্ব খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে নিয়েছে বাঘিনীরা।