শনিবার (১৬ জুন) নাইজেরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ক্রোয়েশিয়া।
খেলার ১২ মিনিটের মাথায় লুকা মদরিচের ভুলে কর্নার থেকে বল চলে যায় নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় মিকেলের কাছে। সুযোগ পেয়ে মিকেল আঘাত হানলেও তা আটকে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ড্যানিয়েল সুবাসিচ।
পরবর্তীতে মদরিচের কাছে থেকে পেয়ে ইভান পেরিসিচের দিকে বল পাঠান মারিও মানজুকিচ। পেরিসিচের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে বল চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। শুধু পেরিসিচ নয়, আন্তে রেবিচকেও গোলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন মানজুকিচ। কিন্তু ঠিকমতো আঘাত হানতে না পারায় গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায় বল। তবে ক্রোয়েশিয়ার দুটি সুযোগ নষ্ট হওয়ার আক্ষেপ আনন্দে পরিণত হয় খেলার ৩২ মিনিটে।
মদরিচের কর্নার থেকে ডিবক্সের ভেতর পেরিসিচের হেডপাস থেকে মানজুকিচ হেড করেন। কিন্তু নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় ওঘেনেকারো এতেবোর পায়ে লেগে সে বল চল যায় গোলপোস্টের ভেতরে। নাইজেরিয়ার এই আত্নঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও বিরতির আগে গোল করতে পারেনি কোনো দলই।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে নাইজেরিয়ার ডিবক্সে উইলিয়াম ট্রুস্ট একং লাফিয়ে ওঠা মানজুকিচকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। ৬৯ মিনিটের ওই পেনাল্টিতে গোল করে ক্রোয়েশিয়ার জয় নিশ্চিত করেন মদরিচ।
দুই গোলের পর ম্যাচের অবশিষ্ট সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো পারফরমেন্স দেখাতে পারেনি নাইজেরিয়া। পরবর্তী ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে নাইজেরিয়া। আর আর্জেন্টিনার মোকাবেলা করতে হবে ক্রোয়েশিয়াকে।