ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে জন্মাষ্টমী উৎসবে “দহি হান্ডি” উৎসবে মানব পিরামিড বড় আকর্ষণ। স্পেনের এক অঞ্চলেও প্রায় ২০০ বছর ধরে একই ধরনের ঐতিহ্য চলে আসছে।
এমনকি সেখানে এই প্রতিযোগিতার বিশ্বকাপও আয়োজন করা হয়। তবে এমন কসরতের ঝুঁকি কম নয়।
স্পেনের তারাগোনায় হিউম্যান পিরামিডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথাকথিত “কাস্তেল” সেখানে শুধু এক ক্রীড়া নয়, কাতালান জাতীয় চেতনার অভিব্যক্তিও বটে। প্রতিযোগিতার ফাইনালে অংশ নেয় ১২টি টিম। গত চার বছর ধরে “হিউম্যান টাওয়ার” বেয়ে উপরে উঠছে ১৩ বছর বয়সী টেরেসা কার্বো। এবার তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এসেছে।
টেরেসা বলে, ‘‘উপরে ওঠার সময় নিচের দিকে তাকানোর কোনো সুযোগ থাকে না। আমি সবসময় সামনের দিকে তাকাই। আমি নিচের দিকে তাকানোর কথা ভাবিই না। শুধু নিজের কাজ করি। ব্যস, আর কিছু না।“
ফাউস্ট সানচেস “কাস্তেলইয়েস দে ভিলাফ্রাংকা” সংঘের হয়ে মাঠে নামেন।
তিনি বলেন, ‘‘কাস্তেলইয়েস দে ভিলাফ্রাংকা প্রতিযোগিতার অংশ নেওয়া আমার জন্য বড় সম্মান। আমার পিতামহ শুরু করেছিলেন, আমার বাবাসহ পুরো পরিবার অংশ নিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই দেখছি। এখানে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। কোনোদিন ছেড়ে যাবো না।“
অষ্টাদশ শতাব্দীতে স্পেনের তারাগোনা অঞ্চলে মানবচূড়ার এই ঐতিহ্য শুরু হয়। একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে সেরা আকারের জন্য প্রতিযোগিতা চলতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মানব পিরামিডের উচ্চতাও বাড়তে লাগলো। ১৯৩২ সালে প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো।
২০১০ সাল থেকে এই ক্রীড়া ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
কাস্তেলেরা হিসেবে এভা আসেদো় মনে করেন, ‘‘দেখে বোঝা না গেলেও বিশাল ঝুঁকি থাকে, কারণ উচ্চতা ও ইমপ্যাক্ট অত্যন্ত বেশি। অনেক মানুষ বেশ চোট পেয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে তেমন কিছু ঘটেনি।“