নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খানকে টপকে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার আইসিসির মার্চ মাসের সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বুধবার (১২ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইসিসি। ২০২১ সাল থেকে চালু হওয়ার দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার জিতলেন ৩৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে এ সম্মাননা জিতেছিলেন বাহাঁতি এ অলরাউন্ডার।
আইসিসির মার্চ মাসের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে সাকিব বলেন, “আমি এ পুরস্কার জিততে পেরে সম্মানিত। বিশেষজ্ঞ প্যানেল যারা আমাকে ভোট দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার কাছে এ স্বীকৃতির মূল্য অনেক। কারণ গত মাসে দুর্দান্ত কিছু ক্রিকেটারের বেশ কিছু দারুণ পারফরম্যান্স ছিল।”
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আরও বলেন, “যদি গত মাস থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু বেছে নিতে হয়, তাহলে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করার কথাই বলতে হবে। সব বিভাগে দল যেহেতু সুন্দর পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, নিজের ভূমিকা ও দলে অবদান রাখার দিকে মনযোগ দেওয়াটা সহজ হয়ে গেছে তাই আমার জন্য।”
মার্চ মাস জুড়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১২ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন সাকিব। এ সময় সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫৩ রান। অন্যদিকে, বল হাতে ঘুর্ণিজাদুতে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন এ বাঁহাতি ক্রিকেটার। ফলে ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর আবারও সাকিবের সামনে আইসিসির মাসসেরা পুরুষ ক্রিকেটার হওয়ার সুযোগ এসেছে।
মার্চ মাসেই ২০১৬ সালের পর টাইগারদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসে ক্রিকেটের সীমিত ওভারের দুই সংস্করণের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পরাজিত হলেও শেষ ম্যাচে জয় পায় স্বাগতিকরা। সেই ম্যাচে ৭৫ রান করার পাশাপাশি চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সাকিব।
তবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। থ্রি লায়ন্সদের বিপক্ষে সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এছাড়া, পুরো সিরিজে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাধ্যমে সাকিব ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
ইংল্যান্ডের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও বাংলাদেশ দারুণ ছন্দে ছিল। ওয়ানডে সিরিজে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরে যাওয়ায় তাদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগারদের।
দলের মতো আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজটা দারুণভাবে পার করেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯৩ রান করেছিলেন সাকিব। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে যথাক্রমে ১৩ বলে অপরাজিত ২০ এবং অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। অন্যদিকে সফরকারীদের বিপক্ষে সিরিজে তিনি ৫ উইকেট নেন।