টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তান। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২৪ রানের বিব্রতকর পরাজয় সঙ্গী হয় স্বাগতিকদের। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে চার বছর পর এবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৪ জুন) টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন শেষে স্বস্তিতেই রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৪ ওভার। এই সেশেনে এক উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ টাইগারদের। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৩৮ রানে এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ৬৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এই জুটির সংগ্রহ ১১০। ব্যক্তিগত ঝুলিতে মাত্র ১ রান নিয়ে ফিরেছেন অপর ওপেনার জাকির হাসান।
এই ম্যাচে সাকিব-তামিমকে ছাড়াই এই টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে আফগান স্কোয়াডে নেই রশিদ খান। মিরপুর টেস্টের টাইগার একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া একাদশে ফিরেছেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়।
চোটের কারণে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টে খেলতে পারেননি তাসকিন ও জাকির। সুস্থ হয়ে ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই একাদশে ফিরেছেন দুজন। গত বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবশেষ টেস্ট খেলেন জয়। এরপর ছন্দ হারিয়ে একাদশ থেকে বাদ পড়েন জয়। তামিম ইকবালের চোটে কপাল খুলল তার।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস। তবে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে কয়েন ভাগ্য পাশে পেলেন না লিটন দাস। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। অধিনায়ক হিসেবে তারও এটি প্রথম টেস্ট।
সবুজ উইকেটে শুরুর দিকের সুবিধা কাজে লাগাতে চায় আফগানরা। শুরুতে মিলেছিল তার কিছুটা ইঙ্গি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই দলীয় ৬ রানে অভিষিক্ত নাজাত মাসুদের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন টাইগার ওপেনার জাকির হাসান। এর মাধ্যমে ২২তম টেস্ট বোলার হিসেবে অভিষেকে প্রথম বলে উইকেট পেলেন নাজাত মাসুদ।
তবে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামলে নিয়েছেন শান্ত। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। ৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে শক্ত জুটি গড়েছেন শান্ত।
এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরের চার ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ২৪, বাকি তিনটির একটিতেও দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন চৌধুরি।
আফগানিস্তান একাদশ: ইব্রাহিম জাদরান, আব্দুল মালিক, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), রহমত শাহ, নাসির জামাল, আফসার জাজাই (উইকেটকিপার), করিম জানাত, আমির হামজা, জহির খান, নিজাত মাসুদ, ইয়ামিন আহমদজাই।