২০২২-২৩ মৌসুমের ব্যালন ডি অর কে জিতবেন, তা নিয়ে ইতোমধ্যে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। ব্যালন ডি অর জয়ের দৌড়ে লিওনেল মেসি ও আর্লিং ব্রাউট হাল্যান্ডই তুলনামূলকভাবে এগিয়ে আছেন। স্বাভাবিকভাবেই ব্যালন ডি অর জয়ের সবচেয়ে বড় দাবিদার হিসেবেও তাদেরই ধরা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে দারুণ একটি মৌসুম কাটালেও তুলনামূলকভাবে আগামী ব্যালন ডি অর জয়ের দৌড়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে খানিকটা পিছিয়েই আছেন। তবে এ ফরাসি ফরোয়ার্ডের দাবি, তিনিই পরবর্তী ব্যালন ডি অরের যোগ্য দাবিদার।
গেল মৌসুমে দীর্ঘ তিন যুগ পর আর্জেন্টিনাকে ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিতে মেসি সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতা ঘোচানোর পথে নামের পাশে সাত গোল নিয়ে আর একাধিক ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েন আগামী সপ্তাহে ৩৭ এ পা দিতে যাওয়া আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
শুধু তাই না, টুর্নামেন্ট শেষে ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো গোল্ডেন বলও জিতে নিয়েছিলেন মেসি। এছাড়া, পিএসজির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪১ ম্যাচে ২১ গোল ও ২০ অ্যাসিস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। সবকিছু বিবেচনায় মেসির হাতেই অষ্টম ব্যালন ডি অর দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।
তবে মেসিকে শক্ত লড়াইয়ের আভাস দিয়ে রেখেছেন হাল্যান্ডও। সর্বশেষ গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটিতে পা রাখার পর গত মৌসুমে রীতিমতো গোলের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন এ নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইংলিশ ক্লাবটির জার্সি গায়ে ৫৩ ম্যাচে ৫২ গোল করে সতীর্থদের দিয়ে তিনি ৯টি গোল করিয়েছেন। পাশাপাশি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে সিটিজেনদের এনে দিয়েছেন ট্রেবল (ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ)।
সেই হিসাবে গত মৌসুমে এমবাপ্পের অর্জনের তালিকাটা বেশ সাদামাটাই। ৮ গোল করে কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন তিনি। ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন ২৩ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। যদিও ফ্রান্সকে শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
ক্লাব ফুটবলে পিএসজির হয়েও গত মৌসুমে এমবাপ্পের অর্জন আহামরি কিছু না। প্যারিসিয়ানদের হয়ে তিনি ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান ও ফরাসি চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া আর কোনো দলীয় পুরস্কার জিতেননি। যদিও ফরাসি ক্লাবটির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪১টি গোল আর ১০টি অ্যাসিস্ট করেছেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে জিতেছেন টানা চতুর্থবার লিগ ওয়ানের বর্ষসেরার খেতাবও।
ব্যালন ডি অর জয়ের সম্ভাবনা দেখেন কি না, এমবাপ্পেকে এমন প্রশ্ন করেছিল সংবাদমাধ্যম টিএফ১। জবাবে পিএসজি উইঙ্গার বলেন, “ব্যালন ডি অর? ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে কথা বলাটা সব সময়ই কঠিন। কারণ আপনাকে এখানে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণ মানুষের (ভোটাভুটির) এ বিষয়গুলোয় ঠিকঠাক প্রতিফলন পাওয়া যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যালন ডি অর আমার প্রাপ্য কি না? নতুন নিয়মে কী বিবেচনা করা হয়? নজরকাড়া গোল করা আর খেলায় প্রভাব ফেলা? আমি মনে করি, এসব ক্ষেত্রগুলো আমার সঙ্গে যায়। আমি বলতেই পারি, হ্যা (ব্যালন ডি'অর আমার প্রাপ্য)। কিন্তু এটা যেসব মানুষ ভোট দেয়, তাদের ব্যাপার। আমি সব সময়ই আশাবাদী।”