স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ওঠা প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। সোমবার স্বাধীন এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পোর্টস্কটল্যান্ড দ্বারা গঠিত কমিশন ‘‘প্ল্যানফোরস্পোর্ট’’ গত বছর ডিসেম্বরে তদন্ত শুরু করে। গত কয়েক মাস ধরে সংস্থাটি স্কটিশ ক্রিকেটের বিভিন্ন স্তরের এক হাজারের বেশি লোকের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তদন্তে এ সংক্রান্ত ৪৪৮টি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে ৬২ শতাংশ মানুষ বলেন, তারা নিজেরা বর্ণবাদ বা বৈষম্যের ভুক্তভোগী হয়েছেন, দেখেছেন বা এমন অভিযোগ পেয়েছেন।
সাবেক স্কটিশ অফ স্পিনার মজিদ হক ২০২১ সালের নভেম্বরে স্কাই স্পোর্টসে আলাপচারিতায় স্কটল্যান্ড বোর্ডের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অভিযোগ আনার পর স্বাধীন তদন্ত শুরু হয়। ইয়র্কশায়ার কাউন্টি দলে থাকাকালীন সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার আজিম রফিক বর্ণবাদের শিকার হওয়ার অভিযোগ আনার পরে এই অভিযোগ করেন মজিদ।
বর্ণবাদের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এসবের মধ্যে রয়েছে জাতিগত নির্যাতন, যাচ্ছেতাই ভাষা ব্যবহার, শ্বেতাঙ্গ শিশুদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব ও অস্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতি।
জাতিগত বৈষম্যের কথা তুলে ধরার পর থেকে মজিদ হক ও কাসিম শেখ কখনোই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি।
প্ল্যানফোরস্পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুইস টাইডসওয়েল বিবৃতিতে পরিষ্কারভাবে বলেন, স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বর্ণবাদ ও বৈষম্য রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার একদিন আগেই স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডে গণ পদত্যাগ শুরু হয়েছে।
স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী গর্ডন আর্থার বলেন, ক্রিকেট বোর্ডে যে বর্ণবাদ ও বৈষম্য ঘটেছে তা আগেই থামানো দরকার ছিল। স্কটিশ ক্রিকেটে যারা বর্ণবাদ ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তাদের কাছে আমি আবারও আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইতে চাই।
স্পোর্টস স্কটল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট হ্যারিস এই প্রতিবেদনকে গভীরভাবে ‘‘উদ্বেগজনক ও মর্মান্তিক’’ বলে বর্ণনা করেছেন।