জানুন ফিফা'র দুই বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপ প্রস্তাবের অন্তরালের কাহিনী!
এ বিষয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বর একটি অনলাইন সম্মেলন ডেকেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা
আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা /সংগৃহীত
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৫৬ পিএমআপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৫৬ পিএম
চার বছরের পরিবর্তে প্রতি দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করার কথা ভাবছে ফিফা। এ নিয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বর একটি অনলাইন সম্মেলন ডেকেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
কয়েকটি লিগের আয়োজক, খেলোয়াড় এবং সমর্থকগোষ্ঠী থেকে দুই বছরের ব্যবধানে বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফার প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হলেও কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল (সিএএফ) এর পক্ষে কথা বলছে।
ফিফার ২১১ সদস্যের মধ্যে সিএএফ’র রয়েছে ৫৪টি সদস্য পদ, তাই ফিফার এই প্রস্তাবনা টিকে যাওয়ারও জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফার একটি বড় উদ্দেশ্য হলো দ্রুত তহবিল বাড়ানো; যার মাধ্যমে ইউরোপীয় লিগের তুলনায় ফিফার তহবিলের ওপর বেশি নির্ভরশীল আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার ফেডারেশনগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানো যায়।
এছাড়া ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেয়ানি ইনফান্তিনো “ফুটবলকে সত্যিকারের বিশ্বজনীন” করে তুলতে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টটি ছোট দেশগুলোর জন্য উন্মুক্ত করতে চান, যার অংশ হিসেবে ২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপে ৪৮টি দল অংশ নেবে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপ বা দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে কোনো দল কখনও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি। এছাড়া গত ২১টি বিশ্বকাপের ১৬টি উয়েফা এবং কনেমবলভুক্ত দেশগুলো আয়োজন করেছে।
ফিফার প্রস্তাবে সমর্থন
সিএএফ গত মাসে ফিফার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে; উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয় ফুটবল সংস্থা বা কনকাকাফের ওপরও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সিএএফ-এর। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও (এএফসি) ফিফার এই প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। এছাড়া ওশেনিয়া অঞ্চল থেকেও প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী বছরে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ফুটবলের ২২তম আসরে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে পাঁচটি দেশ অংশগ্রহণ করবে। যোগ্যতা থাকার পরও বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার কথা বলে আইভরি কোস্টের কোচ প্যাট্রিস বিউমেলে ফিফার বিরুদ্ধে “আফ্রিকান ফুটবলকে হত্যার” অভিযোগ তোলেন।
এছাড়া, গত সেপ্টেম্বরে কনকাকাফ বিশ্বব্যাপী ফুটবলকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামোয় আনতে পুরুষ এবং নারী ফুটবলের জন্য আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার সংশোধনের জন্য ফিফার প্রতি আহ্বান জানায়।
ফিফার গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার, বিশ্বকাপ ছাড়াও প্রতিবছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা কোপা আমেরিকার মতো মহাদেশীয় ইভেন্ট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন। এই ধরনের ইভেন্ট আয়োজনের জন্য তিনি বছরের অক্টোবর বা অক্টোবর এবং মার্চ মাসকে বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন।
যদিও অতিরিক্ত চাপের যুক্তি তুলে ওয়েঙ্গারের এই প্রস্তাবনার বিপক্ষে খেলোয়াড়দের অবস্থান। তাদের দাবি, দেশের হয়ে গ্রীষ্মকালীন টুর্নামেন্টে খেলার পরে তাদের ন্যূনতম ২৫ দিন বিশ্রাম নিতে হবে।
যদিও ফিফার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য কোন সময়সীমা দেওয়া হয়নি, তবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চূড়ান্ত থাকা আন্তর্জাতিক সূচি সংশোধনের পক্ষে ঐক্যমত রয়েছে।
ম্যানচেস্টার সিটি এবং বেলজিয়াম তারকা কেভিন ডি ব্রুইন দাবি করেছেন, মৌসুম শেষে খেলোযাড়দের পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ দিলে দুই বছেরর ব্যবধানে বিশ্বকাপ আয়োজনের ধারণাটি “খারাপ নয়”।
জানুন ফিফা'র দুই বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপ প্রস্তাবের অন্তরালের কাহিনী!
এ বিষয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বর একটি অনলাইন সম্মেলন ডেকেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা
চার বছরের পরিবর্তে প্রতি দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করার কথা ভাবছে ফিফা। এ নিয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বর একটি অনলাইন সম্মেলন ডেকেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
কয়েকটি লিগের আয়োজক, খেলোয়াড় এবং সমর্থকগোষ্ঠী থেকে দুই বছরের ব্যবধানে বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফার প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হলেও কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল (সিএএফ) এর পক্ষে কথা বলছে।
ফিফার ২১১ সদস্যের মধ্যে সিএএফ’র রয়েছে ৫৪টি সদস্য পদ, তাই ফিফার এই প্রস্তাবনা টিকে যাওয়ারও জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফার একটি বড় উদ্দেশ্য হলো দ্রুত তহবিল বাড়ানো; যার মাধ্যমে ইউরোপীয় লিগের তুলনায় ফিফার তহবিলের ওপর বেশি নির্ভরশীল আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার ফেডারেশনগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানো যায়।
এছাড়া ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেয়ানি ইনফান্তিনো “ফুটবলকে সত্যিকারের বিশ্বজনীন” করে তুলতে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টটি ছোট দেশগুলোর জন্য উন্মুক্ত করতে চান, যার অংশ হিসেবে ২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপে ৪৮টি দল অংশ নেবে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপ বা দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে কোনো দল কখনও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি। এছাড়া গত ২১টি বিশ্বকাপের ১৬টি উয়েফা এবং কনেমবলভুক্ত দেশগুলো আয়োজন করেছে।
ফিফার প্রস্তাবে সমর্থন
সিএএফ গত মাসে ফিফার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে; উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয় ফুটবল সংস্থা বা কনকাকাফের ওপরও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সিএএফ-এর। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও (এএফসি) ফিফার এই প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। এছাড়া ওশেনিয়া অঞ্চল থেকেও প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী বছরে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ফুটবলের ২২তম আসরে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে পাঁচটি দেশ অংশগ্রহণ করবে। যোগ্যতা থাকার পরও বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার কথা বলে আইভরি কোস্টের কোচ প্যাট্রিস বিউমেলে ফিফার বিরুদ্ধে “আফ্রিকান ফুটবলকে হত্যার” অভিযোগ তোলেন।
এছাড়া, গত সেপ্টেম্বরে কনকাকাফ বিশ্বব্যাপী ফুটবলকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামোয় আনতে পুরুষ এবং নারী ফুটবলের জন্য আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার সংশোধনের জন্য ফিফার প্রতি আহ্বান জানায়।
ফিফার গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার, বিশ্বকাপ ছাড়াও প্রতিবছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা কোপা আমেরিকার মতো মহাদেশীয় ইভেন্ট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন। এই ধরনের ইভেন্ট আয়োজনের জন্য তিনি বছরের অক্টোবর বা অক্টোবর এবং মার্চ মাসকে বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন।
যদিও অতিরিক্ত চাপের যুক্তি তুলে ওয়েঙ্গারের এই প্রস্তাবনার বিপক্ষে খেলোয়াড়দের অবস্থান। তাদের দাবি, দেশের হয়ে গ্রীষ্মকালীন টুর্নামেন্টে খেলার পরে তাদের ন্যূনতম ২৫ দিন বিশ্রাম নিতে হবে।
যদিও ফিফার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য কোন সময়সীমা দেওয়া হয়নি, তবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চূড়ান্ত থাকা আন্তর্জাতিক সূচি সংশোধনের পক্ষে ঐক্যমত রয়েছে।
ম্যানচেস্টার সিটি এবং বেলজিয়াম তারকা কেভিন ডি ব্রুইন দাবি করেছেন, মৌসুম শেষে খেলোযাড়দের পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ দিলে দুই বছেরর ব্যবধানে বিশ্বকাপ আয়োজনের ধারণাটি “খারাপ নয়”।