ইরানের হাতে সুযোগ ছিল শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়ার। তাইতো, পর্তুগালের সাথে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রেফারি ও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সিন্ধান্তে ক্ষুব্ধ হলেন ইরান কোচ কার্লোস কুইরোজ। ইরান কোচের দাবি,‘বড় নাম’ হওয়ায় ন্যায্য লাল কার্ড দেখানো হয়নি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।
ম্যাচ চলাকালীন এক পর্যায়ে ইরানের মোর্তেজা পোউরালিগাঞ্জিকে কনুই দিয়ে ধাক্কা মারেন কুইনাস তারকা রোনালদো। তাইতো, রোনালদোকে লাল কার্ড না দেয়া নিয়েই ক্ষোভে প্রকাশ করেছেন কুইরোজ, ‘আমরা কোচ, আমাদের জানার অধিকার আছে কী হচ্ছে না হচ্ছে। আমি দেখতে চাই ভিএআর এ কী হচ্ছে। কিন্তু আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের সেটা দেখতে দেয়া হচ্ছে না।’
‘নিয়ম হলো, কনুই দিয়ে ধাক্কা মারলে লাল কার্ড পেতে হবে। সেটা মেসি মারলো না রোনালদো, সেটা দেখার বিষয় নয়। নিয়ম অনুযায়ী এটা লাল কার্ড মানে লাল কার্ড’ রোনালদোর লাল কার্ড প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন কুইরোজ।
"People want to see me fail, miss penalties, get a red card, for my country to fail. I'm mentally tough though, I'm born this way. That's the difference between me and the other people you all claim to be my competition." - Cristiano Ronaldo after #IRAPOR in a dramatic Group B. pic.twitter.com/nEMe28yL2R
— beIN SOCCER (@belNSOCCER) June 25, 2018
Was it a Red card for #Ronaldo?! #var pic.twitter.com/aI04aOarra
— The Accountant (@laxlx05) June 25, 2018
ভিএআরের কার্যকারিতা সম্পর্কে মন্তব্য করেন কুইরোজ, ‘আমার অভিযোগ নির্দিষ্ট কোন রেফারি নিয়ে নয়, বরং তাদের সাহসিকতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও চরিত্রের দৃঢ়তা নিয়ে। সিদ্ধান্ত সকলের জন্যই একই রকম হওয়া উচিত। আমার মতে, ফিফা ও প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো সবাইকেই এটা স্বীকার করতে হবে যে, ভিএআর ঠিকমতো কাজ করছে না। এটাই বাস্তবতা। ভিএআর নিয়ে এখনও পর্যন্ত অনেক অভিযোগ এসেছে।’
ভিএআরের স্বচ্ছতা সম্পর্কেও কুইরোজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তগুলো আসলে কারা নিচ্ছে? আমাদের সেটা জানার অধিকার আছে। আগে রেফারিরা ভুল করতেন, আমরা সেগুলো মেনে নিতাম। কিন্তু এখন তো আমাদের কাছে ভিএআর আছে। ভিএআর থাকার পরেও কেন তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত আসবে? এত উন্নত প্রযুক্তি আছে, এতদিনের প্রশিক্ষণ আছে, রুমে বসে পাঁচজন সার্বক্ষণিক নজরও রাখছেন। তারপরও তারা একটা কনুই মারা ধরতে পারলেন না?’
কুইরোজ মতে, ‘ফুটবলে যদি কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার থাকতো, যেটা আসলে নেই, তাহলে ইরানই জিতে ফিরতো।’