২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের রাশিয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো। সেই সাথে ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে চলে আসা রেকর্ডটা বহাল থাকলো এবারও। জার্মানির এ বিশ্বকাপ থেকেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা পেরোতে পারেনি গ্রুপ পর্বের বাঁধা। জার্মানি থেকে উদ্ভুত এ জুজু এবার জার্মানদেরই কপাল পুড়ালো।
ইনজুরি টাইমে কোরিয়ার কিম ইয়াং-গুয়োন আর সন হিউং-মিনের গোলে ১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম গ্রুপ পর্বে বাদ পড়লো ‘দ্য ডয়েচল্যান্ড’।
শুরু থেকে সমানে সমান লড়ে আসা দক্ষিণ কোরিয়া ১৯ মিনিটে লিডের সুযোগ হাত ছাড়া করে। জুং উ-ইয়াংয়ের করা ফ্রি-কিক ম্যানুয়েল নয়্যারের হাত ফসকে গেলে, ফিরতী বলে জাল ভেদ করতে পারেনি সন হিউং-মিন। এর ৬ মিনিট পর আবারও জুং এর দেয়া ক্রসে ভলি করতে গিয়ে বল পাঠিয়ে দেন গ্যালারিতে।
প্রথমার্ধ্বে আক্রমণের তেমন সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধ্বে লিওন গোরেৎস্কার হেডারে গোলের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় কোচ লো এর শিষ্যরা। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গোলবারের ‘অতন্দ্র প্রহরী’ হিওন-উ চমৎকার সেভে হতাশা বাড়ান মুলারদের।
সময় গড়ার সাথে সাথে চাপের মুখে নিজেদের খেলাটা যেনো ভুলেই যাচ্ছিলেন ৪ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘এনার্জেটিক’ প্রদর্শনে শেষ সুযোগ টা হাতছাড়া করেন ম্যাট হামেলস।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ফলাফল না পাওয়া জার্মানদের উপর চড়াও হতে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। ৯২ মিনিটে কর্নার কিক থেকে পাওয়া বল প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের পায়ের মাঝ দিয়ে বাড়িয়ে দিলে কিম ইয়াং-গুয়োন ডেডলক ভাঙেন।
আসর থেকে ছিটকে পড়া প্রায় নিশ্চিত জেনেই এবার কোরিয়ানদের ‘মরণ কামড়’ দিতে বার ছেড়ে নয়্যারও চলে এলেন প্রতিপক্ষের ডেরায়। তবে সে কামড়ের বিষে জার্মানদের নীল করে ফাঁকা বারের উদ্দেশ্যে দেয়া লম্বা শট জালে জড়ান সন হিউং-মিন।
জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও জোয়াকিম লো’র শিষ্যদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়াকেও ফিরতে হচ্ছে স্বদেশে।
গ্রুপ-এফ থেকে ২ জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সুইডেন থাকছে শীর্ষে আর সমান পয়েন্ট নিয়ে মেক্সিকো রানার-আপ হিসেবে নিশ্চিত করেছে শেষ ১৬’র লড়াই!