এশিয়া কাপের জন্য দেশ ছাড়ার আগে টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্ব পেরোনোকেই প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন টাইগার কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে পরাজিত হয় তার দল। পরবর্তীতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৯ রানের জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে পা রেখে ইতোমধ্যে টাইগারদের সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এবারের এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের সুপার ফোর অভিযান শুরু হচ্ছে। চলুন তার আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মু্খোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে চোখ বুলিয়ে আসি-
সাম্প্রতিক ফর্ম: আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সাতে। তবে দুই দলের মু্খোমুখি সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের চার জয়ের বিপরীতে পাকিস্তান জিতেছে মাত্র একটিতে। ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপে দুই দল শেষবার মু্খোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত সেই আসরের সুপার ফোরে পাকিস্তানকে ৩ রানে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছিল টাইগাররা।
মু্খোমুখি লড়াই: ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। এখন ৩৭ ওয়ানডেতে একে অপরের মোকাবিলা করে ৩২টি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তানিরা। বিপরীতে টাইগাররা জয়লাভ করেছে মাত্র ৫টি ম্যাচে। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে কখনো হারের মুখ দেখেনি পাকিস্তান।
সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ: বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহটি এসেছিল এশিয়া কাপেই। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত সেই আসরের গ্রুপপর্বে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। এশিয়া কাপেও এটি সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহটি এসেছিল ২০১৫ সালে। ঘরের মাঠে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ওয়ানডেতে ৩২৯ রান সংগ্রহ করেছিল টাইগাররা।
সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ: দুই দলের মু্খোমুখি লড়াইয়ে দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহটি বাংলাদেশের। ২০০০ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানেই অলআউট হয় টাইগাররা। এশিয়া কাপের ইতিহাসেও এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহটি এসেছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় সেই আসরের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের ২২৩ রানের জবাবে ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
সর্বোচ্চ রান: ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মু্খোমুখি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক মোহাম্মদ ইউসুফ। টাইগারদের বিপক্ষে তিন শতকের সুবাদে ৮৯৩ রান করেছেন সাবেক এই পাকিস্তানি ব্যাটার। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই সেঞ্চুরির মাধ্যমে এই বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ৬৮৪ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট: ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মু্খোমুখি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। টাইগারদের বিপক্ষে ৩২টি উইকেট পেয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ উইকেট পেয়েছেন এই বাহাঁতি অলরাউন্ডার।
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল: ওয়ানডে সংস্করণে দুই দলের মু্খোমুখি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ডটি ভাগাভাগি করছেন বাংলাদেশের খালেদ মাসুদ পাইলট ও পাকিস্তানের কামরান আকমল। দুই উইকেটরক্ষকেরই ডিসমিসালের সংখ্যা ১৭টি। তবে মুশফিকুর রহিমের সামনে এককভাবে রেকর্ডটির মালিক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৫টি ডিসমিসাল করেছেন এই বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক।