দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে ছাড়াই ভারতে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এর মধ্যেই বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি।
যেখানে তামিম বলেছেন, “আমি কখনও, কোনোভাবেই বলিনি আমি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলবো না। আমি কেবল নির্বাচকদের বলেছিলাম আমদের ইনজুরির কথা জেনে আমাদের নির্বাচন করুন। তখন সবাই এই ব্যাপারে একমত হয়েছিল। কিন্তু পরে এটা নিয়ে বিতর্ক হলো।”
তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের সূচিই এমন ছিল, ফাঁকা সময় ছিল অনেক। এটা সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে কিন্তু ইনজুরির ঝুঁকি থাকতে পারে। আমাকে যখন মূল্যায়ন করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল? ফিজিওর রিপোর্টে যা ছিল বলছি।”
তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি আমার সঙ্গে এই জিনিসটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে চান, তাদের মোস্ট ওয়েলকাম। আমার সাথে পাবলিক ফোরামে বসেন, আমাকে বলেন যে আমি ভুল বলেছি।”
এর আগে ভিডিওর শুরুতে তামিম বলেন, “আমার কাছে মনে হয় সঠিক জিনিসটা সবার জানা উচিত। আপনারা জানেন আমি পদত্যাগ করি। এটারও একটা কারণ ছিল। তারপর আমি প্রধানমন্ত্রীর কারণে ফিরে আসি। এরপর গত দুই মাস আমি অনেক কষ্ট করি। এই সময়টাতে আমি নিজেকে ফিট করার জন্য এমন কোনো কষ্ট নেই যা করিনি।”
তিনি বলেন, “যখন আমি খেলা শুরু করলাম। ৩৫ ওভার যখন ফিল্ডিং করলাম। দ্বিতীয় ম্যাচে যখন ব্যাটিংয়র সুযোগ আসলো। আমি চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার। হয়তো আমরা হেরে গেছি। আমি খুশি ছিলাম আমার ব্যাটিং নিয়ে। ম্যাচ শেষে আমি মানসিকভাবে খুশি ছিলাম। আপনি যখন এতদিন পর ক্রিকেট খেলবেন, কিছুটা অস্বস্তি থাকবেই। দুই ম্যাচেই আমি কিছুটা ব্যথা অনুভব করেছি। আমি আমার অবস্থান মেডিক্যাল বিভাগকে বলেছি। ওই সময় তিন জন নির্বাচক আমার কাছে আসে।”
তামিম বলেন, “বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বলল, তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। এক কাজ করো তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না, আফগানিস্তানের সঙ্গে। আমি বললাম ভাই এটা এখনো ১২-১৩ দিনের কথা। আমি তো এর মধ্যে ভালো কন্ডিশনে থাকব। কী কারণে খেলব না? তখন বললেন, আমরা এমন একটা পরিকল্পনা করছি আচ্ছা তুমি যদি খেলোও তাহলে নিচে ব্যাট করাব।”
তিনি আরও বলেন, “ন্যাচারালি একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসছিলাম। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি। আমি হ্যাপি ছিলাম। হঠাৎ করে এসব কথা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। জীবনে কোনো দিন তিন-চারে ব্যাটিংই করিনি। এমন যদি হতো আমি তিনে ব্যাটিং করি, চারে ব্যাটিং করি তাহলে যদি ওপর-নিচ করা হয় সেটা মানিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু আমার তিন-চারে-পাঁচে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই।”
বোর্ডের কাছ থেকে আসা প্রস্তাব ভালোভাবে নেননি জানিয়ে তামিম বলেন, “আমি কথাগুলো ভালোভাবে নিইনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ কথাগুলো পছন্দ হয়নি। মনে হচ্ছিল আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। দিস ইজ হোয়াট আই ফেল্ট। তখন আমি বললাম দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিদিন আপনারা আমাকে একেকটা নতুন জিনিস ফেস করাবেন, আমি এই জিনিসগুলোয় থাকতে চাই না।”