ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আনন্দিত ও আত্মবিশ্বাসী মেজাজে দেখা দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তারকা অলরাউন্ডার জানান, হতাশাজনক বিশ্বকাপ যাত্রার পর এখন পর্যন্ত মেজাজ ফিরিয়ে আনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৭ রানের পরাজয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস ছিল একেবারেই তলানিতে। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ককেও দেখা গিয়েছিল বিধ্বস্ত। সেদিন তিনি স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে খারাপ বিশ্বকাপ অভিযান ছিল।
এ পরাজয়ের একদিন পর রবিবার অনুশীলন থেকে এক দিনের ছুটি পেয়েছিলেন লাল ও সবুজ দলের খেলোয়াড়রা।
রবিবার রাতে কোলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন বাংলাদেশ দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান, বোর্ডের সদস্য ও বিশ্বকাপ কভার করতে ভারতে যাওয়া সাংবাদিকরাসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এতে আমন্ত্রিত ছিলেন।
পুরো দল ও কোচিং স্টাফ সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে খেলোয়াড়দের কিছুটা বিষণ্ণ দেখাচ্ছিল।
বিসিবি প্রধান অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই কঠিন সময়ে দলের পাশে আছে বোর্ড।”
সোমবার সন্ধ্যায় ইডেন গার্ডেনের আলোতে অনুশীলনে ফিরে আসে টাইগাররা। অনুশীলন সেশনের আগে সাকিব অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এবার, বাংলাদেশ অধিনায়ককে উচ্ছ্বসিত ও ইতিবাচক দেখাচ্ছিল। স্বভাবগতভাবে তিনি এদিন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যা দুই দিন আগে আগের সংবাদ সম্মেলনের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।
বিদেশি এক সাংবাদিক সাকিবকে প্রশ্ন করেন, “পাকিস্তানের বিপক্ষে মানসিকভাবে আপনাকে আজ চাঙা লাগছে?”
সাকিব হাসতে হাসতে উত্তর দেন, “আমার ভয়েস আজ কি পরিবর্তন হয়েছে? (হাসি)। আমরাই কেবল পারি নিজেদের অ্যাকশন দিয়ে দলের পরিস্থিতি বদলে দিতে। এটাই করার চেষ্টায় আছি আমি।”
শেষ দু্ই দিনে ড্রেসিংরুমের অবস্থা নিয়ে সাকিব বলেছেন, “ওইদিন তো সবাই খুব খারাপ অনুভব করেছে। তবে কেবল খারাপ অনুভব করলে তো চলবে না। এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে আমাদের। আমরা একসাথে বসে ও ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেছি। যেটা করলে আমাদের আরও ভালো কিছু হতে পারে, সেগুলো আমরা করার চেষ্টা করেছি।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে, “মুখে হাসি নিয়ে সাকিব বলেন, মাঝে মাঝে হাসির প্রয়োজন হয়।”
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজয়সহ টানা পরাজয়ের পরে টাইগারদের এখন স্নায়ু শান্ত করতে হবে। আর তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ খেলার আগে ইতিবাচক মেজাজে থাকতে হবে।