বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশ যেন বৈঠা ছাড়া নৌকা। জয় নামের তীর যার ভীষণ অচেনা। একের পর এক ম্যাচে হারছে দল। ব্যক্তিগত কারিশমায় কেউ কেউ কিছুটা জ্বলে উঠলেও দলগতভাবে ভীষণ আঁধারেই বসবাস টাইগারদের। এমন অবস্থায় কোচ যেন নীরব থাকাকেই পিঠ বাঁচানোর উপায় বলে ধরে নিয়েছিলেন। তবে অবশেষে তিনি মুখ খুললেন। কিন্তু যা বললেন তা যেন পুরোটাই দায়সারা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাত মাস ধরে দলের দায়িত্বে থাকা চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আর সেখানে তার দাবি, এই সময়ে তিনি নাকি আসল কাজ শুরুই করতে পারেননি। এই কাজ শুরু করবেন বিশ্বকাপের পরে।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যর্থতার এই অভিযানের বিষয়ে কোচের ব্যাখ্যা, কিছু বিষয় তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, “আমি সাত মাস আগে কাজ শুরু করেছি। আমার হাতে কেবল সাত মাস সময় ছিল। এর মাঝে বেশ কিছু জিনিস ঘটেছে যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমার মনে হয় এটা নিয়ে আলোচনা করা কিংবা ভাববার সঠিক সময় নয়।”
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমার ভাবনায় শুধু সামনের ম্যাচ। পরের ম্যাচটা আমরা কীভাবে জিততে পারি সেটাই ভাবছি। আমরা সবকিছুই ঠিকঠাক করছি। ট্রেনিং করছি, খেলোয়াড়দের মুড ভালো, তারা সবাই কঠোরভাবে চেষ্টা করছে। তারা সবাই ভালো করতে চায়। এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যতটা সম্ভব সবাইকে সবদিক থেকে চাপমুক্ত রাখা।”
হাথুরু বলেন, “শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সাম্প্রতিক অতীতে বেশকিছু ভালো ম্যাচ খেলেছে। বিশ্বকাপে দুই দলই একই অবস্থায় আছে। যেহেতু আমরা সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ হারিয়েছি। আমাদের এখন লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়া। এই ম্যাচ তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
ছয় ম্যাচে পরাজয়ের কারণে এরইমধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড় থেকে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ দল। এমনকি শঙ্কা আছে শীর্ষ আট দলের তালিকায় থাকা নিয়েও। এই তালিকায় না থাকতে পারলে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারবে না টাইগাররা। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য।