বিশ্বকাপে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপের সামনে অসহায় ছিল সবাই। কেবল নেদারল্যান্ডস তাদের হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। আরেক ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে কষ্ট করে জিততে হয়েছে। এই দুইবারই পরে ব্যাটিং করেছে তারা।
রবিবার (৫ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ভারতের ৩২৬ রানের জবাবে ২৪৩ রানে হেরেছে প্রোটিয়ারা।
বাকি ম্যাচগুলোতে তাদের ব্যাটিং দাপট ছিল এই বিশ্বকাপে আলোচনার বিষয়। কিন্তু ভারতের কাছে ব্যাট হাতে তারা রীতিমতো দিশেহারা। মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়ে শোচনীয়ভাবে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিশ্বকাপ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের খেলায় যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা সবাই করেছিলেন তা একেবারেই দেখা যায়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের আগের বিধ্বংসী বোলিংই ফিরে এলো কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে ঘোল খেয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। অথচ টুর্নামেন্টের পাঁচ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে সবগুলোতেই তিনশর বেশি রান করেছিল। কিন্তু এই আসরে তৃতীয়বার পরে ব্যাটিং করতে নেমে ফের হিমশিম খেতেএ হলো তাদের।
৩২৬ রানের জবাবে ২৪৩ রানের এই পরাজয়। এটিই ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পরাজয় এবং যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। তবে বিশ্বকাপে এর আগে এত কম রানে কখনও অলআউট হয়নি প্রোটিয়ারা।
মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামি নতুন বল হাতে ধাক্কা দেন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি কককে (৫) বোল্ড করেন সিরাজ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বল হাতে নেওয়া জাদেজা টেম্বা বাভুমাকে (১১) বোল্ড করেন। দশম ওভারে এইডেন মারক্রামকে (৯) লোকেশ রাহুলের ক্যাচ বানান শামি। প্রথম ১০ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আফ্রিকান ব্যাটিং লাইনআপ তখন বিধ্বস্তপ্রায়।
এরপর একে একে আইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদাকে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নেন জাদেজা। ৯ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি, যা বিশ্বকাপে ভারতের কোনো স্পিনারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ২৮তম ওভারের প্রথম বলে লুঙ্গি এনগিডিকে শুন্য রানে বোল্ড করে প্রোটিয়াদের গুটিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। সমান দুটি উইকেট নেন শামি।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকা বিরাট কোহলি হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান পাকা করলো ভারত। এই ম্যাচে নামার আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ ম্যাচে দ্বিতীয় হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।