আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে সদস্যপদ স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিল করবে শ্রীলঙ্কা। শনিবার (১১ নভেম্বর) দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রানাসিংহে এ কথা জানান।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানায়, বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
বাজে পারফরম্যান্সের কারণে গত ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে। গঠন করা হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন নতুন কমিটি। তবে এর একদিন না যেতেই ৭ নভেম্বর ক্রীড়ামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাতিল করে শ্রীলঙ্কার আপিল আদালত। কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি। শুক্রবার জরুরি সভা আহ্বান করে আইসিসি বোর্ড। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে। বিশেষ করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, আইসিসি বোর্ড আজ বৈঠকে বসে ঠিক করেছে যে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট একটি সদস্য হিসেবে তার প্রতিশ্রুতির গুরুতর লঙ্ঘন করছে। বিশেষ করে, স্বায়ত্তশাসিতভাবে তার বিষয়গুলো পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা এবং শাসন, প্রবিধান এবং প্রশাসনে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ নেই তা নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। এ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার রানাসিংহে বলেন, “শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট পরিচালনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল না। আইসিসির পদক্ষেপটি কোনো পরামর্শ ছাড়াই করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এটি উপায় নয়। আইসিসি বা অন্য কোনো সংস্থা যখন নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করে তখন তাদের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া থাকে... তবে এটি একটি আশ্চর্যজনক ছিল এবং এটি নৈতিক নয়।”
তিনি আরও বলেন, “তারা কীভাবে আমাদের দেশের নিন্দা করতে পারে?”
বিশ্বকাপে নয়টি ম্যাচের মধ্যে শ্রীলঙ্কা মাত্র দুটি জিতেছে। দশ দলের খেলায় তারা আছে নয় নম্বরে। এরইমধ্যে তারা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে।
১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পায় শ্রীলঙ্কা। এই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স বাজে। এমনকি পয়েন্ট টেবিলের নয় নম্বরে থাকায় আগামী ২০১৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।