মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪৯/৮। তবে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে মুশফিকুর রহমানের অদ্ভুতুরে আউট।
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে হাত দিয়ে বল আটকে আউট হলেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিকেটীয় কানুনে এটিকে বলা হয় “অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড”।
৪১তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডিফেন্ড করেন মুশফিক। বল মাটিতে লাফিয়ে পেছনে ছুটছিল, তবে অফস্টাম্পের দিকে নয়। কিন্তু কী মনে করে যেন ডান হাত দিয়ে বল ঠেকালেন বাংলাদেশি ব্যাটার। নিউজিল্যান্ড অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের আবেদন করে। থার্ড আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। নিজের মনকে যেন বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না মুশফিক। মাথা নিচু করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
ক্রিকেটের আইনে ৩৭.১.১ ধারায় এই আউট সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্যাটার যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বল ধরেন, তবে এই আউট হবেন। কিন্তু যদি চোটের হাত থেকে বাঁচতে বল ধরেন তবে তিনি আউট হবেন না।
এই আইনটি এক সময় “হ্যান্ডলড দ্য বল” আউট নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে “হ্যান্ডলড দ্য বল আউট” বাদ দিয়ে এই আউটকে “অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড” আউটের অর্ন্তভুক্ত করা হয়।
পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে “অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড” আউট হলেন মুশফিক। টেস্টে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। ১৯৫১ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম এভাবে আউট হয়েছিলেন ইংলিশ ওপেনার লেন হাটন।
এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তানের চার ব্যাটার রমিজ রাজা, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ হাফিজ এবং আনোয়ার আলি এমন বিরল আউট হয়েছিলেন। এছাড়া ভারতের অমরনাথ, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল এবং লঙ্কান ব্যাটার গুনাথিলাকাও একদিনের ক্রিকেটে এমন আউটের নজির গড়েছেন।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে এমন আউট হয়েছেন তিনজন। ইংল্যান্ডের জেসন রয়, মালদ্বীপের হাসান রাশিদ এবং অস্ট্রেয়ার রাজমাল সিগিওয়াল এমন আউট হয়েছেন।