ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনে ফিফা ও উয়েফার বাধা দেওয়াকে বেআইনি বলে রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের (ইসিজে) দেওয়া এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে উভয় পক্ষ।
রায়ে আদালত বলেছেন, “ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনে বাধা দিয়ে ফিফা ও উয়েফা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।”
২০২১ সালের এপ্রিলে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বিকল্প হিসেবে ১২টি ক্লাব নিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ফিফা ও উয়েফাসহ এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বাধা ও সমর্থকদের সমালোচনার মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরে দাঁড়ায় ৯টি ক্লাব। তবে থেকে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস।
সুপার লিগ আয়োজনের আলোচনা শুরুর পরই ফিফা-উয়েফার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তখন আগাম নিষেধাজ্ঞা এড়াতে আদালতের আশ্রয় নেয় লিগ কর্তৃপক্ষ। পরে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসে আবেদন করে তারা। আজ সেটিরই রায় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আদালতের রায়ের পর বিবৃতি দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তিনি বলেছেন, “আদালতের সিদ্ধান্তটি ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে দুটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। প্রথমত, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল আর একচেটিয়া থাকবে না। দ্বিতীয়ত, সব ক্লাবই এখন থেকে নিজেদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।”
বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা আরেক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই রায়ের মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বে একচেটিয়া ক্ষমতার অবসান করে ইউরোপে একটি নতুন অভিজাত প্রতিযোগিতার পথ প্রশস্ত হয়েছে।”
যদিও রায়ে আদালত বলেছে, “এর মানে এই নয় যে, সুপার লিগ প্রকল্পের মতো প্রতিযোগিতাকে অবশ্যই অনুমোদন দিতে হবে।” তবে আদালতের এই রায়কে ফিফা ও উয়েফার কর্তৃত্বের ওপর আঘাত হিসেবেই মনে করছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় উয়েফা এক বিবৃতিতে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, আদালতের রায় তাদের বিরুদ্ধে গেলেও সেটা সুপার লিগ আয়োজনের অনুমোদন বা বৈধতা দেয় না।”