জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও স্বাগিতক নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের বড় হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।
ওশেনিয়া মহাদেশের দেশটির নেপিয়ারে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। সাইফুদ্দিন ও মোহাম্মদ মিঠুন জুটির ৮৪ রানের সুবাধে অনেক কষ্টে ২০০ রান পেরোয় বাংলাদেশ।
অল্প পুঁজি নিয়ে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে জিততে যে বোলিং, ফিল্ডিং দরকার ছিল তার কোনোটিই করতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্টিন গাপটিলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রথম ওয়ানডেতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
এর আগে মাত্র ৪২ রান তুলতেই প্রথম সারির ৪ উইকেট হারায় মাশরাফি বাহিনী। সৌম্য সরকার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন তিনি।
এরপর ২৩ ওভারে বাংলাদেশের দলীয় রান যখন ৯৪, তখন ৬ ব্যাটসম্যান উইকেট ছেড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে সাইফুদ্দিনের জুটি প্রতিরোধ গড়ে ৮৪ রান তোলেন।
সাটনারের বলে গাপটিলকে ক্যাচ দিয়ে সাইফুদ্দিন যখন ব্যক্তিগত ৪১ রানে মাঠ ছাড়েন তখন দলীয় স্কোর ২১৫। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনও থিতু হতে পারেননি। দলীয় ২২৯ ও ব্যক্তিগত ৬২ রানে তিনি মাঠ ছাড়েন।
শেষের ব্যাটসম্যান মাশরাফি ও মোস্তাফিজ মাত্র ৩ রান যোগ করেন। ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ইনিংস।
নিজিল্যান্ডের টিএ ভোল্ট ও এমজে সাটনার ৩টি করে এবং ফার্গুসন ও হেনরি ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
অল্প পূঁজি নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশকে মূলত ম্যাচ থেকে ছিটেকে দেয় ওপেনার মার্টিন গাপটিলের অপরাজিত ১১৭ রানের ইনিংস। আরেক অপেনার হেনরি নিকোলসও খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৩ রানের সাবধানী ইনিংস খেলেন নিকোলস।
পরবর্তীতে ক্রিজে আসা অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে মাহমুদুল্লাহ তাকে মাত্র ১১ রানে ফিরিয়ে দিলেও আর কোনো উইকেটর দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ফলে ৮ উইকেটের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।