ভারত বিশ্বের যেকোনো মাঠে ভয়ঙ্কর দল বলে মন্তব্য করেছেন দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
কেপ টাউন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের পর এমন মন্তব্য করেছেন সফরকারী দলের অধিনায়ক।
দুই ম্যাচের সিরিজটি শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। নিউল্যান্ডসে ৭ ম্যাচ খেলে প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেল এশিয়ার দলটি।
চার ইনিংস মিলিয়ে এই ম্যাচে খেলা হয়েছে ৬৪২ বল। এর চেয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফল আসা ম্যাচ আগে কখনও দেখেনি টেস্ট ক্রিকেট।
আগের সংক্ষিপ্ততম টেস্টেও জড়িয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্টটি ৬৫৬ বলে শেষ হয়েছিলো।
পেসার মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের জয়ের পথ তৈরি হয়। ১৫ রানে ৬ উইকেট শিকার করে প্রথম দিন লাঞ্চের আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানে গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন সিরাজ।
মার্করামের ১০৩ বলে ১০৬ রানের উপর ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপ টাউনের উইকেটে গতি, সিম মুভমেন্ট এবং অস্বাভাবিক বাউন্সের সাথে পুরো ম্যাচেই লড়াই করতে হয়েছে দু’দলের ব্যাটারদের।
রোহিত শর্মা বলেন, “ব্যাটারদের জন্য কন্ডিশন কঠিন থাকলেও, বোলারদের সঠিক জায়গায় বল করতে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভালো ব্যাট করে ১০০ রানের লিড পেয়েছি। আমরা জানতাম, এটি সংক্ষিপ্ত ম্যাচ হতে যাচ্ছে এবং প্রতিটি রানই গুরুত্বপূর্ণ। ঐ লিড আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
রোহিত আর বলেন, “বিদেশের মাটিতে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু গত চার বা পাঁচ বছর ধরে আমরা বিদেশের মাটিতে ভালো খেলছি। বিদেশের মাটিতে খেলতে এসে এমন জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে, এজন্য যেকোনো কন্ডিশনে আমরা পারফর্ম করতে পারি।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ারে নিজের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পান ডিন এলগার। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
উইকেট বুঝতে ভুল করেছিলেন জানিয়ে এলগার বলেন, “খালি চোখে উইকেট দেখতে সুন্দর ছিল। কিন্তু সবাই যেমন ভেবেছিল তেমন নয়, এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলো। এটি আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমরা এই ম্যাচে বেশ ইতিবাচক ছিলাম।”
প্রথম ইনিংসে দলের বাজে ব্যাটিংকে হারের কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন এলগার, “প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ে আমরা ম্যাচ হেরেছি। কন্ডিশন ও উইকেটের সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে ভারত।”
টেস্টের প্রথম দিন ২৩ উইকেটের পতন হয়। দ্বিতীয় দিন সকালে লড়াই হয়েছে মার্করাম ও বুমরাহর মধ্যে। ৬১ রানে ৬ উইকেট নেন বুমরাহ। ব্যক্তিগত ৭১ রানে বুমরাহর বলে মার্করামের কঠিন ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন ভারত উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল।
মার্করামের সেঞ্চুরির ইনিংসের পর এমন ভয়ানক উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান ছিলো ভারতের বিরাট কোহলির। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান ছিলো মার্করামের সতীর্থ কাইল ভেরিনির।
১০৩ বল খেলে ১৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৬ রান করেন মার্করাম। এরমধ্যে পেসার প্রসিধ কৃষ্ণার বলে মার্করামের মারা ১টি ছক্কা মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সিরাজের বলে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে থামেন মার্করাম।