বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নিজের কার্যকলাপ আর অঙ্গভঙ্গির জন্য সমালোচনা আর মিডিয়ার লাইম লাইটে ছিলো আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাডোনা।
পুরো টুর্নামেন্টে সবচেয়ে সমালোচিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান সমর্থকদের প্রতি দেখানো ম্যারাডোনার বর্ণবাদী দেহভাষা। তারপরেও ফিফা কি কারণে তার প্রতি ম্যাচ বাবদ ১০ হাজার পাউন্ড করে প্রদান করছে? যার মূল্যমান বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ লক্ষ!
শুধু তাই নয়, সমর্থকদের অসদাচরণের জন্য যেখানে জরিমানা করা হলো আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে, সেখানে ম্যারাডোনাকে তার আচরণে সংবরনে কোনো সাধারণ অনুরোধও করা হয়নি!
এর কারণ, জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো’র লিজেন্ড স্কিম। প্রত্যেক দেশের অন্তত একজন করে কিংবদন্তী ফুটবলার তাদের দেশের খেলায় ফিফার ‘অ্যাম্বাসেডর’এর ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই পরিকল্পনা ছিলো সাবেক এই উয়েফা সাধারণ সম্পাদকের।
ডেইলে মেইলের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানের সাথে অতীতের সংশ্রব ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই স্কিম করা হয়েছে। আর এই অর্থ তাদের যাতায়াত ও আবাসনের জন্য প্রদান করা হচ্ছে। আর কোটার শর্ত পূরণ করেন বলেই দিয়েগো ম্যারাডোনা সে সুবিধাগুলো পাচ্ছেন।
‘তামাক মুক্ত বিশ্বকাপ’এ আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১ম ম্যাচে চুরুট খেয়ে সমালোচকদের দৃষ্টি কাড়েন তিনি। একই ম্যাচে নিজের চোখের দু’পাশ টেনে ধরে দক্ষিণ কোরিয়ান সমর্থকদের প্রতি বর্ণবাদী ইশারা করেন ৮৬’র এ বিশ্বকাপ জয়ী।