সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচটিতে রোনালদোর না খেলার বিষয়টি জানা গিয়েছিল আগেই। আর লিওনেল মেসিকে নামানো হলো ম্যাচের শেষ দিকে; ততক্ষণে মেসির ইন্টার মিয়ামির জালে একে একে ৬ গোল দিয়ে ফেলেছে আল নাসর।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট রিয়াদ সিজন কাপের ম্যাচে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামিকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর।
সৌদি আরবের রিয়াদের কিংডম অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে মেসিকে নামানো হয়। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। আধ ডজন গোল হজম করে ম্যাচ থেকে অনেক দূরে ছিটকে যায় মেসি-সুয়ারেজদের মিয়ামি। শেষ ৬-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে মিয়ামি।
বল দখলে দুই দলের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য ছিল না। ম্যাচে আল নাসরের দখলে বল ছিল ৫৩%, অন্যদিকে মিয়ামির দখলে ছিল ৪৭%। তবে আল নাসর বড় পার্থক্য গড়েছে সুযোগ তৈরিতে। ২১টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্যদিকে ইন্টার মিয়ামি ১২ শটের মাত্র ৩টিই রাখে লক্ষ্যে।
রোনালদো না থাকলেও ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটে তার পর্তুগিজ সতীর্থ ওতাবিওর গোলে এগিয়ে যায় আল নাসর। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ব্যবধান হয় ৩-০। ১০ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান তালিসকা এবং ১২ মিনিটে গোল করেন আইমেরিক লাপোর্তা। এরপর প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
বিরতির পর ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চর্তুথ গোলটি করেন তালিসকা। ৬৮ মিনিটে মোহাম্মদ মারানও গোল করলে ব্যবধান হয়ে যায় ৫-০। আর ৭৩ মিনিটে অর্ধ ডজনের শেষ গোলটি আসে তালিসকার কাছ থেকে। আর এ গোলের মধ্য দিয়ে নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন তালিসকা।
ম্যাচের এক পর্যায়ে ট্যাকেল করা নিয়ে দুদল হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে; যা প্রীতি ম্যাচকে বেশ অপ্রীতিকর করে তোলে।
৮৩তম মিনিটে লিওনার্দো কাম্পানার বদলি হিসেবে নামানো হয় মেসিকে। তিন মিনিট পর বাঁ পায়ে লক্ষ্যে একটি শট নেন মেসি। তবে আটকে দেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার। বড় হারের হতাশায় মাঠ ছাড়ে মিয়ামি।
সৌদি আরব সফরে দুই ম্যাচের দুটিই হারল যুক্তরাষ্ট্রের দলটি। গত সোমবার সৌদি আরবের আরেক দল আল হিলালের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হারেন মেসি, লুইস সুয়ারেজরা।
এবার প্রাক-মৌসুমে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে জয়ের স্বাদ পায়নি মিয়ামি। এল সালভাদরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর টানা তিনটি হারের স্বাদ পেল তারা।